গাছে থাকতেই বেচা হচ্ছে হাড়িভাঙ্গা! ৩০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা

ছবি- সংগৃহীত।

এবার রংপুরে ১৯০৫ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি আম বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমের রাজত্বে নতুন রাজা হয়ে ইতোমধ্যে জানান দিয়েছে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম। জাতটি দিয়ে দেশের ও বিদেশের আমের বাজারে নাম লিখিয়েছে রংপুর। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের কাছেও উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে এই আম।

খুব দ্রুতই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়া আমের এই প্রজাতিটি এখনো পুরোপুরি পুষ্ট হয়নি। তার আগেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ৫০ কোটি টাকার আম রপ্তানির ক্রয়াদেশ পেয়েছেন বাগান মালিকেরা। আরও অর্ডার পাওয়ার আশা করছেন তারা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার রংপুরে ১৯০৫ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আম চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি। আমের ফলন এবার গতবারের চেয়ে ভালো হওয়ায় প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি আম বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হাড়িভাঙ্গা আম দেখতে সুঠাম ও মাংসালো, শ্বাস গোলাকার ও একটু লম্বা। এর উপরিভাগ বেশি মোটা ও চওড়া, নিচের অংশ অপেক্ষাকৃত চিকন। আঁশমুক্ত আমের তুলনায় শ্বাস অনেক ছোট। আকারের তুলনায় ওজন বেশি। জেনেটিক পরিবর্তনের  কারণে আমের চামড়া কুঁচকে গেলেও পচে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী জুন মাসের ২০ তারিখের পর হাড়িভাঙ্গা আম বাজারে আসবে। হাড়িভাঙ্গা আম পুরোপুরি পুষ্ট হতে সময় লাগে। তবে কোরবানি ঈদের আগেই পুরোপুরি বাজারে চলে আসার সম্ভবনা রয়েছে।

মে  ১২, ২০২৩ at ১১:২৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর