হুন্ডির পেটে রেমিট্যান্স!

ছবি- সংগৃহীত।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’ এর ডিস্ট্রিবিউটর চট্টগ্রামের মেসার্স আল-কাদের এন্ড কোম্পানির মালিক খোন্দকার আশফাক হোসেন কাদেরী। হুন্ডির মাধ্যমে মোট ৪৬ কোটি ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৫ টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সম্প্রতি ১৩ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেসার্স আল-কাদের এন্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সংস্থাটি।

নানা উদ্যোগ নেয়া সত্ত্বেও ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ বাড়ানো যাচ্ছে না। তাদের উপার্জিত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডি বন্ধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়াতে একের পর এক বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে- তবুও মিলছে না ইতিবাচক ফল। বরং নির্বিঘেœ ‘হুন্ডির পেটে’ যাচ্ছে ‘রেমিট্যান্সের গুড়’।

বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। তবে প্রবাসীরা সামান্য লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এটা হচ্ছে শুধু ডলার রেট বৈষম্যের কারণে। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ আসে রেমিট্যান্স থেকে। রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর প্রবাসীদের অভিযোগ, আর্র্থিক মূল্য বেশি পেতে ক্রমেই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন তারা। ফলে বৈধ চ্যানেলে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অর্থের সমপরিমাণ মূল্য বৈধ চ্যানেলে পেলে অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে যাবে বলে মত প্রবাসীদের। ব্যাংকারদের মতে, অর্থ পাচারের জন্যও হুন্ডি এখন উত্তম মাধ্যম। প্রবাসীদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডির কারণে এখন দেশে আসছে কম। ওই অর্থের বেশির ভাগই থেকে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এসব অর্থ সেকেন্ড হোমের নিবন্ধন, বাড়ি ও গাড়ি কেনাসহ নানা ধরনের কাজে ব্যয় হচ্ছে। ডিজিটাল হুন্ডি অর্থ পাচারকারীদের কাজটি সহজ করে দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।

একটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে গত বছর এক কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, অফিসিয়াল চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৫১ শতাংশ। হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। তিনি প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানোর অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, হুন্ডিতে টাকা পাঠানো নিরুৎসাহিত করতে আমরা অফিসিয়াল চ্যানেলে টাকা দেশে আনার সুফল সবাইকে জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৬৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের মাসের চেয়ে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। আর বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের দর বেঁধে দেয়ার কারণেই হুন্ডিতে লেনদেনে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। ডলারের বিনিময়ে ব্যাংক দিচ্ছে কম টাকা; ব্যাংকের বাইরে দিচ্ছে বেশি। এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে নানা ঝক্কি সামলাতে হয়, অন্যদিকে সহজে সেবা পাওয়ার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠান প্রবাসীরা।

তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় বছরে প্রবাসী কর্মসংস্থান প্রায় ১৫ লাখ বেড়েছে। অথচ রেমিট্যান্স প্রবাহে বইছে উল্টো স্রোত। এর প্রধান কারণ হিসেবে হুন্ডির তৎপরতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিবেশ রয়েছে। যে কারণে হুন্ডির পরিমাণ বাড়ছে। কমছে রেমিট্যান্স। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে তারা ১০৮-১১০ টাকা পাচ্ছে। অথচ হুন্ডিতে পাঠালে পাচ্ছে ১১৫-২০ টাকা। তাই তারা হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া অর্থ পাচারকারীরাও হুন্ডির সুবিধা নিচ্ছে। এজন্য ডলারের রেট সহজলভ্য করতে হবে। পাশাপাশি যেসব দেশে হুন্ডি বেশি হচ্ছে, সেখানে সরকারকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কারা এর সঙ্গে জড়িত। প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।

যদিও প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে এক টাকা বাড়িয়ে ১ মে থেকে ডলারের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা। সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ মিলবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৬ টাকা। এতদিন রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ছিল ১০৫ টাকা। গত ৩০ এপ্রিল এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

প্রবাসী শ্রমিকরা জানান, বিদেশ থেকে দেশে বাবা-মা, স্ত্রী কিংবা পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠাতে শুধু ফোন দিলেই চলে। অর্থাৎ যে কোনো জায়গায় বসে বিদেশের দোকানে বা এজেন্টকে ফোন দিয়ে অর্থের পরিমাণ বলে দিলেই হয়। তারা সমপরিমাণ টাকা হয় মোবাইল অ্যাকাউন্টে অথবা সরাসরি গ্রামে বা শহরের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসে। এতে যেমন সময় কম লাগে, খরচও কম হয়। আবার ফরম পূরণের মতো ঝামেলাও হয় না। এমনই একজন প্রবাসী শ্রমিক ব্রাক্ষণবাড়িয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০০০ সাল থেকে দুবাই থাকেন। কাজ করছেন একটি ওয়ার্কশপে। ওভারটাইমসহ মাসে তিন হাজার দেরহাম আয় করেন। তার খরচ বাদে বাকি সব টাকা দেশে পাঠান। কীভাবে এ টাকা দেশে পাঠান জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ব্যাংক, বিকাশ ও হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমেই আগে টাকা পাঠাতাম। তবে এতে ঝামেলা বেশি, সময় লাগে বেশি।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে ফরম পূরণ করতে হয়, অনেক সময় কাগজপত্রও দিতে হতো। এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে, ফলে অনেক সময় রেমিট্যান্স পাঠাতে গিয়ে আর কাজে যেতে পারিনি। পরে এক বন্ধুর মাধ্যম জানতে পারলাম, হুন্ডির সুবিধা। তার কথামতো পরের মাসে হুন্ডি করলাম। সঙ্গে সঙ্গে দেশে টাকা চলে গেল। রেটও ব্যাংকের চেয়ে বেশি পেলাম। এরপর থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠাই। তবে এখনো মাঝে মাঝে ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা পাঠাই।

মোয়াজ্জেমের মতো একই সুরে কথা বললেন মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রহমান কাঞ্চন। তিনি বলেন, প্রায় ১৩ বছর হলো মালয়েশিয়ায় আছি। সকালে কাজে যাই, বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মাঝে দুপুরের খাবারের সময় ছাড়া অন্য কোনো সময় পাই না। তাই যখন যেভাবে দেশে টাকা পাঠাতে সুবিধা হয় সেভাবেই পাঠাই। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ব্যাংকে টাকা পাঠাই। তবে হুন্ডিতেই বেশি পাঠানো হয়। কারণ হুন্ডিতে রেট বেশি পাওয়া যায়। ব্যাংক গত মাসে ২১ টাকার (রিংগিত) মতো দিয়েছে। হুন্ডিতে পেয়েছি ২৫ টাকার ওপরে।

তথ্যউপাত্তে জানা গেছে, জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৬৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের মাসের চেয়ে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। ২০২২ সালের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

অথচ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ১০ জন। আর ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে কর্মী গেছেন মোট ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশের প্রবাসী আয় বাড়েনি। উল্টো কমছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪ জন। এ হিসেবে গড়ে একজন প্রবাসী গত এপ্রিলে ১১১ ডলার করে দেশে পাঠিয়েছেন।

ঈদের সময় হঠাৎ রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সাধারণত ঈদের সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এবারো মাসের প্রথম দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি ছিল। কিন্তু শেষ দিকে কমেছে। রেমিট্যান্স কমার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে। রেমিট্যান্স সার্বিকভাবে কমেছে নাকি বিশেষ কোনো দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে, এটা দেখা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারব।

রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের প্রধান ড. তাসনীম জানান, আমরা গবেষণা করতে গিয়ে জেনেছি, একজন প্রবাসী দুই মাধ্যমেই টাকা পাঠান। যখন ছোট পরিমাণ কোনো অর্থ দেশে পাঠান- তখন তিনি হুন্ডি ব্যবহার করেন, আর যখন বড় অঙ্কের টাকা পাঠান তখন ফর্মাল বা ব্যাংকিং চ্যানেলে যান। তবে অনেক সময় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকিং চ্যানেলে যেতে পারেন না; কারণ ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে আইডি নম্বর লাগে। যারা অবৈধভাবে থাকেন বা কাজ করেন তারা আইডি নম্বর দিতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়ে হুন্ডিতে টাকা পাঠান। এছাড়া যখন হুন্ডির চাহিদা বেশি থাকে অর্থাৎ যখন দেশে সোনা চোরাচালান বেশি হয়, ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানির সময় ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসিং বেশি করে- তখন বিদেশে অর্থ সংগ্রহ করতে হুন্ডি ব্যবহার করে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ যখনই পাচার বা?ড়ে, তখনই হুন্ডি চাঙা হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী অবৈধ গেমিং, বেটিং বা জুয়া এবং অনলাইনে বৈদেশিক মুদ্রার বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে নগদ ডলার। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তে নেমেছে সিআইডি। বিদেশে শ্রমিক পাঠানো বাড়লেও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। আবার বিদেশ ভ্রমণ নানাভাবে নিরুৎসাহিত করার পরও দেশের বাজারে নগদ ডলারের ব্যাপক সংকট চলছে।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রেমিট্যান্স হুন্ডি হওয়া মানেই অর্থ পাচার। অর্থাৎ দেশে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসার কথা ছিল তা আসছে না। বিদেশেই থেকে যাচ্ছে। কিন্তু দেশে সমপরিমাণ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এর প্রভাবে আজ টাকার সঙ্গে ডলারের মূল্যের এত ব্যবধান। তিনি আরো বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসীরা যেন হুন্ডিতে অর্থ না পাঠান এজন্য অফিসিয়াল চ্যানেলে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। যাতে বৈধ পথে হুন্ডির সমপরিমাণ অর্থ তিনি পান।

মে  ১১, ২০২৩ at ১১:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর