চৌগাছা পৌরসভায় অন্তত দুইশ পরিবার পাচ্ছে বিনামূল্যে পাকা শৌচাগার

চৌগাছা পৌরসভার গরিব অসহায় অন্তত দুইশ পরিবার বিনামূল্যে পাচ্ছেন পাকা শৌচাগার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ও পৌরসভার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পরিবার এর সুফল পেতে শুরু করেছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চৌগাছা পৌরসভায় সুপেয় খাবার পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক পাকা করণসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পৌরবাসী বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতে শুরু করেছেন। আর পাকা সড়কসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থারও সুফল ভোগ করছেন।
পৌরসভা শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে বেশ আগে। এরআগে অনেকে আধাপাকা শৌচাগার ব্যবহার করলেও সম্প্রতি তারা পাকা শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। পৌরমেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের প্রচেষ্টায় পৌরবাসী এই সুফল পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
২০০৪ সালে চৌগাছা উপজেলা সদরকে নিয়ে গঠিত হয় চৌগাছা পৌরসভা। যশোর উন্নয়নের রুপকার সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের হাত ধরে নবগঠিত পৌরসভা তরতর করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে। ২০০৬ সালে পৌরসভার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উন্নয়নের এই রুপকার। পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা প্রশাসক, চেয়ারম্যান ও মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার পৌরসভা জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ তিনি নিরলসভাবে কাজ করেন বলে জানান পৌরবাসী।
 এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান মেয়র নুর উদ্দিন আল মানুম হিমেল। তিনি সাবেক পৌর মেয়রের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ গুরুত্ব সহকারে সমাপ্তের পাশাপাশি নতুন নতুন কাজের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে ছুটেছেন একাধিকবার। তার সেই পরিশ্রম সফল হয়েছে আর সুফল পেতে শুরু করেছেন পৌরসভার মানুষ। বিশ্বব্যাংক দেশের ৩৩১ টি পৌরসভার মধ্যে মাাত্র ৩০টি পৌরসভায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেয়। সেই ৩০টি পৌরসভর মধ্যে একটি হচ্ছে চৌগাছা পৌরসভা। পৌরমেয়রের দিক নির্দেশনায় সকল কাজ অত্যন্ত সাফল্যের সাথে চলতে থাকে, যার কারণে ওই ৩০টি পৌরসভার মধ্যে সকল কাজে এগিয়ে থাকায় চৌগাছা পৌরসভা সেরা পাঁচে অবস্থান করছে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পৌরসভায় বসবাসরত অন্তত ২০০ পরিবারকে পাকা শৌচাগার দেয়ার লক্ষে কর্তৃপক্ষ একটি তালিকা বিশ্বব্যাংক ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করে। যাচাই বাছাই শেষে দেয়া হয় অনুমোদন। পর্যায়ক্রমে তালিকা মোতাবেক সকলেই পাকা শৌচাগার পাবেন। প্রতিটি শৌচাগার বাবদ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি শৌচাগারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
পৌরমেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, পৌর এলাকাতে বিশুদ্ধ পানি ছিল অনেকটাই স্বপ্নের মত। সেটি হয়েছে। পাকা সড়ক, ড্রেনসহ বহু উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। খুশির খবর হচ্ছে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনার জন্য তৈরে হচ্ছে ডাম্পিং স্টেশন।

মে  ০৯, ২০২৩ at ১৮:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোমই/ইর