আগ্রহ হারাচ্ছেন কারিগররা, হুমকির মুখে দেশি বাদ্যযন্ত্র

যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম, সংসারের অন্যান্য ব্যয় বেড়েছে একই অনুপাতে শ্রমের দাম বাড়েনি। আর এ কারণেই বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগররা তাদের পেশায় ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছেন।

আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে অনেক ছোট ছোট পেশার ওপর। যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম, সংসারের ব্যয়, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, বাড়িভাড়া বেড়েছে একই অনুপাতে শ্রমের দাম বাড়েনি। আর এ কারণেই বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগররা তাদের পেশায় ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছেন।

আরো পড়ুন :
> চিলমারীতে অসাধুপায়ে পরিক্ষা, দেয়াল টপকে দিচ্ছে নকল
> মাতৃগর্ভে শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার

বাদ্যযন্ত্র তৈরির অনন্য শিল্প গড়ে উঠেছিল ফরিদপুরে। অনেকেই যুক্ত হয়েছিলেন এই পেশায়। তবে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত কারিগররা ইস্তফা দিয়েছেন নিজেকে। বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা।

জানা গেছে, ঢোল, তবলা, মৃদঙ্গ, হারমনিয়াম, কংঙ্গ, ড্রাম, খোল, খমক, হাতপায়সহ ছোটদের কিছু খেলনা বাদ্যযন্ত্র তৈরি হতো ফরিদপুরে। এই বাদ্যযন্ত্রগুলো সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হতো। দিনদিন তা সংকুচিত হয়ে আসছে। ফরিদপুরে বর্তমানে মাত্র ৮টি বাদ্যযন্ত্র তৈরির দোকার রয়েছে। যার ৩টি শহরের গোয়ালচামট জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রমের আঙিনা মার্কেটে; আর ৫টি গোয়ালচামট ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে জেলা পরিষেদের মার্কেটে।

কারিগররা বলছেন, বাদ্যযন্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কিনতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সেই তুলনায় বাদ্যযন্ত্রের প্রকৃত দাম তারা পাচ্ছেন না। এ জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে এই পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছেন।

জেলার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের প্রভাবে দেশিয় এই শিল্প হুমকির মুখে। প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এই শিল্প আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয়। এটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

মে  ০৯, ২০২৩ at ১৩:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর