ঠাকুরগাঁওয়ে চুরি করে গাছ বিক্রির সময় ধরা খেলেন জেলা ভেটেরিনারি অফিসার

ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সরকারি গাছ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চুরি করে বিক্রির সময় ধরা খেলেন জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজাহার আহমেদ খান। রোববার রাতে অফিস সংলগ্ন সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন গাছের ২টি গুড়িসহ ২টি ভ্যান আটকে দেন। পরে তারা বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামানকে জানায়। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছের ভ্যান দুটিকে গাছ সহ সদর উপজেলা কার্যালয়ে নিজ জিম্মায় নেন।
জানা যায়, উল্লেখিত অফিসের ভেতরে একটি গাছ ঝড়ে পরে যায়। গাছটি কর্তন ও অপসারনের অনুমতি চেয়ে জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজহার আহমেদ খান চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দিনাজপুর সামাজিক বনায়ন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। সেটির কোন জবাব না পেয়ে পুনরায় চলতি মাসের ২ তারিখে পুনরায় লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন অনুমতি না পেয়েও চুরি করে গাছগুলি নিজের কাজে ব্যবহারের জন্য মিস্ত্রি ঠিক করেন। রাতে গাছগুলি ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা আটকিয়ে দেন। তারা জানান, এর আগেও সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভুতভাবে গাছ কর্তন ও অপসারনে মানা করলেও জেলা ভেটেরিনারি অফিসার শোনেননি।

আরো পড়ুন :
> পত্নীতলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সুফলভোগীদের মাঝে ভেড়া ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ
> যশোরে শয়তানের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের সদস্য ৩ জন ইরানি নাগরিকসহ গ্রেফতার-৫

এ ব্যাপারে জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজাহার আহমেদ খান বলেন, গাছ আমি কেটেছি। আমি এ বিষয়ে দিনাজপুর সামাজিক বনায়ন বিভাগকে লিখিত চিঠি দিয়েছি। অনুমতি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সফিউল আলম মন্ডল বলেন, শুনেছি ওই কর্মকর্তা গাছ কর্তন ও অপসারনের জন্য আবেদন করছেন, তবে এ পর্যন্ত অনুমতির কোন কাগজপত্র আমাদের দপ্তরে আসেনি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, যেহেতু গাছ চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছিল, বিষয়টি জানার পর গাছসহ ভ্যান ২টিকে আমার বাসভবনের সামনে জিম্মায় রাখতে বলেছি। সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের কর্মচারীগণ গাছগুলি ২টি ভ্যান সহ জিম্মায় দিয়ে গেছে।
সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মে  ০৮, ২০২৩ at ১৮:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আঅঅ/ইর