বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষার হলে লাবিবা

ছবি- সংগৃহীত।

ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা গেছেন বাবা ফজলুল হক। বুধবার সকালে বাড়িতে পৌঁছেছে লাশ। শোকে বিহবল স্বজনরা। চলছে লাশ দাফনের প্রস্তুতি।

এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হলে এসেছে দত্তনগর এসএম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী লাবিবা। চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে লাবিবা।

ঘটনাটি উপজেলার স্বরূপপুর ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের। লাবিবা খাতুনের কেন্দ্র পড়েছে মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

আরো পড়ুন :
> শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভিযোগ
> ফেসবুকে শিয়ালের মাংস বিক্রির পোস্ট, অতঃপর…

ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে ওই কেন্দ্র যায় সে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় ওই দিনের পরীক্ষা দিয়েছে লাবিবা। পরীক্ষা শুরুর পর বেলা ১১টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার বাবাকে।

লাবিবা খাতুনের চাচা ইউপি সদস্য আবু বক্কর যুগান্তরকে বলেন, হার্টের ব্লক ধরা পড়লে ফললুল হককে ঢাকায় নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে বাবার মৃত্যুতে লাবিবা ভেঙে পড়তে চায় না। বাবার স্বপ্ন পূরণে ভালো রেজাল্ট করে ডাক্তার হতে চায় সে।

দত্তনগর এসএম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হুসাইন বলেন, সে আমার বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। সকালে খবরটি শুনার পর খুবই খারাপ লেগেছে। বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসে পরীক্ষা দেওয়া একজন সন্তানের পক্ষে কঠিন ব্যাপার। তবে সে যেন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে সেজন্য সান্ত্বনা দিয়েছি।

কেন্দ্র সচিব রঞ্জন মজুমদার বলেন, সকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। ওই পরীক্ষার্থীর যাতে পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে তার প্রতি নজর রাখছি।

মে  ০৩, ২০২৩ at ২১:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর