ঠাকুরগাঁওয়ের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা দয়ের হয়েছে। সদর উপজেলার রুহিয়া থানার চতুরাখোর (পাঠানপাড়া) গ্রামে এ ঘটনায় গত বুধবার স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে রুহিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। তবে ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল ওই গৃহবধূ তার শ্বশুড়ের ভুট্টা ক্ষেতে পাতা তুলছিলেন। এমন সময় সদর উপজেলার রুহিয়া থানার চতুরাখোর পাঠানপাড়া গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (গাজী)’র নেতৃত্বে ৩ জন লোক পেছন থেকে ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় গৃহবধূ চিৎকার করার চেষ্টা করলে মোস্তাফিজুর রহমান ও অন্যান্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র বের করে গলায় লাগিয়ে চিৎকার করতে মানা করেন। পরক্ষনেই আসামিরা ওই গৃহবধূর মুখে উড়না পেঁচিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গ্রামের এক নারী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে এসে উল্লেখিত ৩ জনকে আটক করে।
এ সংবাদে আটককৃতদের বাড়িতে পৌছালে তারাও দলবল বেধে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ওই গৃহবধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে ওই গৃহবধূসহ আহতদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই গৃহবধুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
আরো পড়ুন :
> হাসপাতালে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
> ভূঞাপুরে ৩০০ বছরের পুরনো বটগাছ সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর
মামলায় আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার রুহিয়া থানার চতুরাখোর (পাঠানপাড়া) গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (গাজী), মৃত এশরারুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান, জয়নাল আবেদিনের ছেলে ও আখানগর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জনি পারভেজ, মৃত ইশারত খাঁয়ের ছেলে মো. মোকাব্বের আলী, মৃত আজির উদ্দীনের ছেলে মো. হোসেন আলী, মো. আকবর আলীর ছেলে মো. মশিউর রহমান, মৃত জমি উদ্দীনের ছেলে মো. আব্দুস সাত্তার (ছত্তর), মো. আকবর আলীর ছেলে মো. মনছুর আলী, মৃত আজির উদ্দীনের ছেলে মো. আকবর আলী।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ at ২০:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হুক/ইর
