রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

ছবি- সংগৃহীত।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নিলেন। বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে (সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতির পদে শপথ বাক্য পাঠ করান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশত বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পৌঁছান এ অনুষ্ঠানে। প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগ দেন শপথ অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকাল থেকে বঙ্গভবনে অতিথিরা আসেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়াারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম চুপ্পু। তাঁর বাবার নাম শরফুদ্দিন আনছারী এবং মা’র নাম খায়রুন্নেসা।

তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

আরো পড়ুন :
> পাঁচবিবিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে, দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়
> চেহারা ছাড়াও মেয়েদের ৫ জিনিস আকর্ষণীয় মনে করেন ছেলেরা

গত মার্চে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রাষ্ট্রপতি হামিদ তার অবসরে আড্ডা দিতে সাংবাদিকদের নিকুঞ্জের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখেন। সে সময় তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে সময় কাটাবেন। আর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড লেখার কাজ শেষ করবেন।

এর আগে গতকাল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেয়াদ শেষে নিকুঞ্জের বাসায় উঠবেন। নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানের পর বঙ্গভবনে তার বিদায় অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানের শেষে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এপ্রিল ২৪, ২০২৩ at ১১:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/সুরা