কাজিপুরে বাঁধ নির্মাণের আড়ালে অবৈধ বালু ব্যবসা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্ৰামের ওয়াবদা বাঁধ থেকে জয় বাঁধ পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করা গত ৩১ মার্চ ২০২৩। এলাকার গন্যমান্য সচেতন ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের যমুনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংরাবাড়ি, পাটাগ্ৰাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের ১৫ নং প্যাকেজ এলাকার নদীতীরের অতিরিক্ত মাটি দিয়ে উক্ত বাঁধ নির্মাণ করা হবে ।

গত ১৯ এপ্রিল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধ বাংলা ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বাঁধ নির্মাণের অন্তরালে  পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রতিদিন কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে, নষ্ট হচ্ছে, উর্বর আবাদি জমি। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহাগের ছত্রছায়ায় অবৈধ বালুর ব্যবসার সিন্ডিকেট তৈরি হওয়ার পর থেকে দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এই বিষয়ে, এলাকায় এখনো ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
তারা আরো জানান, বাংলা ড্রেজার নিয়ন্ত্রনহীনভাবে মাটি উত্তোলন করে বিধায় বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আরো পড়ুন :
> যশোরে দুই হাজার পরিবারে আনোয়ার হোসেন বিপুলের ঈদ উপহার
> মণিরামপুরে সহস্রাধিক অসহায়, অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ইয়াকুব আলীর ঈদ উপহারসহ নগদ অর্থ বিতরণ

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহাগ স্বীকারোক্তিসহ জানান, উচ্ছিষ্ট মাটি সড়ানোর জন্য, পাউবো সিরাজগঞ্জেকে জানিয়ে বাংলা ড্রেজার ব্যবহার করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন বাংলা ড্রেজার ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি, বাংলা ড্রেজার ব্যবহার করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, যমুনা নদীর ডান তীরে বাঐখোলা এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ কাজের ৩০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউআই-এসিসি জেভি।  গত ৩০/৬/২০২২ ইং তারিখে মধ্যে প্রকল্প শেষ করার শর্তে ২১২৯.০৬ লক্ষ টাকায় চুক্তি সম্পাদন করে প্রতিষ্ঠানটি। বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের পওর বিভাগ। এই বিষয়ে , ইতিপূর্বে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

এপ্রিল ১৮, ২০২৩ at ১৭:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আসোচা/ ইর