শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ

সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনগণ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় । এর পরে ১০টা ২২ মিনিটে রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তার লাশকে বহন করে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্যান্ডেলে নিয়ে আসেন ।

আরো পড়ুন :
> ভূল্লী প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
> যশোরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন

এদিন ১০ টা ২৭ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। এরপরে সোহান গ্রুপের চেয়ারম্যান খবিরুদ্দদীন শ্রদ্ধা জানান ।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে । সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ।

এছাড়াও আগামীকাল শুক্রবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে । তবে তার মরদেহ দাফন করা হবে নাকি দান করে দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ । ৮২ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে ।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে । তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী । মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড় । ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন । তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন ।

মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন । পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ।

হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী । ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল ।

এপ্রিল ১৩, ২০২৩ at ১১:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/ আক/দেপ্র/ ইর