নাশকতার মামলায় জামায়াতের ৮ নেতা রিমান্ডে

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ ৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, উত্তর মহানগরী মজলিসের শুরার সদস্য ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আমীর আবুল বাশার (৪০), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এবং মোহাম্মদ ইউসুফ (88), মজলিশে শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য আনোয়ারুল হক ওরফে আনোয়ার হোসেন মোল্লা (৬৩), সমর্থক শিব্বির আহম্মদ (৬০), ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম (৬৯), ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুব আলী (৫৫) ও আব্দুল হাকিম সরকার (৬৩)।

গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তাদের আজ সকালে ভাটারা থানায় নাশকতার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজু মিয়া জানান, শুনানি শেষে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ১১ নম্বর আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ৮ জনকে দুটি মামলায় পৃথকভাবে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি জানান, আটক জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা দায়ের করে কদমতলী থানা পুলিশ। প্রত্যেক মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরো পড়ুন :
>সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীরা
>ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ
উল্লেখ্য, নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোলাইরপাড় এলাকার কফিল উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পেছনে জালালাবাদ টিন ফ্যাক্টরির পাশের একটি বাড়িতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ককটেল, জিহাদী বই, চাপাতি ও চাকু উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে আসামি সেলিমের পাঁচ দিন এবং অপর সাতজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী কামাল হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

এপ্রিল ০৮, ২০২৩ at ১৫:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/ আক/দেপ্র/ ইর