ঈদকে ঘিরে সক্রিয় ছিনতাই চক্র প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের

দেশে যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটে। আসন্ন ঈদকে ঘিরে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের ধরে থানায় ফোন দিলেও পুলিশ “আসতেছি” বলে দুই- তিন ঘণ্টা পার হলেও আসে না। তা ছাড়া থানায় দেওয়ার পর পুলিশ ব্যবসায়ীদের মামলার বাদী হতে বলে। বাদী হওয়ার ঝামেলা এড়াতে ব্যবসায়ীরা আটক ছিনতাইকারীদের থানায় সোপর্দ করার আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন। তাই ছিনতাই রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ব্যবসায়ীরা সন্দিহান।

তবে পুলিশ জানায়, নগরীর বিপণিবিতানগুলোয় অপ্রীতিকর ঘটনা ও ছিনতাই রোধে সতর্ক আছে পুলিশ। তাই পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এছাড়া ছিনতাইকারীদের ধরতে কাজ করছেন একাধিক নারী পুলিশ সদস্য। যারা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরো পড়ুন :
>ন্যায্য মূল্যে পন্য সেবা কার্যক্রম চলছে মানিকগঞ্জে
>রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পুলিশ বলছে, নগরীর বিভিন্ন স্থানে অফিস, ব্যাংক, এটিএম বুথ, মার্কেটের সামনে ওত পেতে থেকে পথচারীদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে নির্জন অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে নিয়ে যায় তারা। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র ও ছোরার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে।

ছিনতাইয়ের সময় কোনো ধরনের বিড়ম্বনা করলে ধারালো ছোরা দিয়ে জখম করে থাকে। অভিযোগ আছে, নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, সানমার ওশান সিটি, শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুরার কমপ্লেক্স, আফমি প্লাজায় প্রায় ঘটছে টাকাসহ ব্যাগ খোয়া যাওয়ার ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্তরা এ বিষয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষকে জানালেও আইনি ঝামেলা এড়াতে থানায় যান না বেশির ভাগ মানুষ।

ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে মোবাইল ফোন খুইয়েছেন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা একাধিক ক্রেতা। এছাড়া মূল্যবান মালামাল হারিয়েছেন অনেকেই। ঈদ ঘিরে মাওনা এলাকায় ছিনতাইকারী চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতে ক্রেতার পাশাপাশি চরম উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরাও।

ছিনতাই রোধে নগরজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। চেকপোস্টে তল্লাশি চলছে। বাড়ানো হয়েছে মার্কেটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা। ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ছয়জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত ছয় থেকে সাতজন আসামি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। বিশেষ করে নগরের বিআরটিসিগামী, সিআরবিগামী পথচারী, স্টেশন রোড ও রিয়াজউদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক যাতায়াতকারী গাড়ি ও পথচারীদের টার্গেট ছিল তাদের। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।

এপ্রিল ০৮, ২০২৩ at ১২:১৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/ আক/দেপ্র/ ইর