বিমানবন্দর রেলস্টেশনের বটলতায় চায়ের দোকানের পজিশন বিক্রির অভিযোগ

ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন বলেন,প্রায় ১ যুগধরে এই রেলস্টেশনে বটতলায় চায়ের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করি।হঠাৎ একদিন আমার এই জায়গা ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করে দেয়া এস আই আকবর।আমি আমার পরিবার নিয়ে বিপাকে আছি।দোকানের টাকা দিয়েই চলতো সংসার।

সেলিম নামে আরেক দোকানী বলেন,চাঁদ না দেয়ার কারণে আমার সরবতের গাড়ি পুকুরে ফেলে দেয় আকবর।প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা চাঁদ উঠায় রেলস্টেশনে বিভিন্ন দোকানীদের কাছ থেকে।টাকা না দিলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয় দোকানিদের।তিনি আরও বলেন,এস আই আকবর তার ছেলেকে লন্ডন পড়াশোনা করায়।একজন এস আই এর বেতনের স্কেল কত? কিভাবে তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,রেলস্টেশনের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে প্রায় ৪৫-৫০ টির অধিক দোকান।নাম না জানানোর শর্থে একজন দোকানী বলেন,এখানে আগে কিছুই ছিলো না।এস আই আকবর স্যার আসার পর এডভান্স নিয়ে দোকান বসিয়েছে।

জানা গেছে,২০১৮ সালে প্রশাসনিক কারণে এডিশনাল আই জি পি কাশেম ঈশ্বরদী বদলী করেন এস আই আকবরকে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে আবার বিমানবন্দন আসেন এস আই আকবর।২০২১ শেষ পযার্য়ে ডি আই জি শাহ্ আলম মাদকের অভিযোগে প্রশাসনিক কারণে চট্টগ্রাম জেলায় বদলী করেন।১০ মাস পরে আবার তিনি আসেন বিমানবন্দরে।জনমনে প্রশ্ন প্রশাসনিকভাবে একই জায়গায় বারবার পোস্টিং কিভাবে হচ্ছেন আকবর।কার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আকবর।কেন?বিমানবন্দর ছাড়তে পারছেনা আকবর।

এই বিষয় এস আই আকবর মুঠোফোন বলেন,আনিত অভিযোগ মিথ্যা।দোকানপাট বসানোর বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, উচ্ছেদ করি তারা আবার বসায়।কত দিন আগে উচ্ছেদ করেছেন এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি সঠিক বলতে পারেন না।

এপ্রিল ০৭, ২০২৩ at ১১:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইমি/সুরা