র্বীরগঞ্জে লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধু সংগ্রহ করতে প্রায় ৭০ মৌয়াল এসেছেন বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগানে। সারিবদ্ধ বাগানের নিচে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌয়ালরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৫০ মেট্রিকটন। যা বর্তমানে ২৮ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে।

বাকি কয়েকদিনে আরও ২২ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হবে বলেও তিনি মনে করছেন। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায় মধু সংগ্রহের চিত্র। বিভিন্ন বাগানে লিচু গাছের নিচে গোলাকার সারিবদ্ধ বাক্স বসিয়ে রেখেছেন মৌয়ালরা। উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নে ঢাকা থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন মো. রফিকুজ্জামান খান। তিনি ১৬০ মৌমাছির বাক্স নিয়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে।

মৌয়াল রফিকের সঙ্গে আছেন আরও তিনজন। রফিক বলেন, আমি বিসিকের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে মৌচাষ পালনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সিজনালি মধু সংগ্রহ করে থাকি। এবার তিনি বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের একটি লিচু বাগানে ১৬০টি বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন। প্রতি সাতদিন পর পর ৭০ বাক্সে ৫০ কেজি মধু সংগ্রহ করতে পারেন।

রফিকের সহকর্মী হাসান আলী বলেন, “আমাদের এখানে ৬ জনের মত কাজ করি। মধু সংগ্রহের মাধ্যমে এই ৬ জন লোকের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় তেমনই মধু সংগ্রহে বেশ লাভবান তারা।” প্রতি কেজি মধু সংগ্রহকালীন তারা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। যা বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিক্রি করেন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি।মধুচাষী রফিক বলেন, ‘মধু চাষ করলে লিচু গাছের ফুল ও ফলন ভালো হয়। ফল সহজে ঝরে পড়ে না।

মৌমাছিরা পরাগায়নের মাধ্যমে এক ফুল থেকে আরেক ফুলে বসে। এতে ফুল ও ফলন দুটোই ভালো হয়। মধু চাষে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন হাবিব ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মধু সংগ্রহের কাজটি সহজ। একটু সর্তক থাকতে হয়। আমি প্রতিমাসে খাওয়া-থাকা বাদেও ১০ হাজার টাকা পাই। পুরোটাই জমা রাখতে পারি।

উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “মধুর কদর আগের চেয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় লিচু বাগান থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করতে আসেন। এতে মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লিচু গাছের ফলনও ভালো হয় বলে তিনি জানান।

মার্চ ২৯, ২০২৩ at ১৪:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/প্ররা/সুরা