যশোর মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারের আয়োজনে জেলার বাঘারপাড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঘারপাড়া মহিলা মাদ্রাসায় দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে সাড়ে ৮শ জন রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করেছেন অনুষ্ঠানের আয়োজক অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ হাসান আলী।
এসময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডাঃ নিকুঞ্জ বিহারি গোলদার তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রঙ্গা, মেধাও দৃঢ় মননশীলতার মাধ্যমে ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। কিন্তু বিভিন্ন রাজনতৈকি বাঁক বদলের কারণে সেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বারবার হোঁচট খেয়েছে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশের উন্নয়ন যদি দেখি, তাহলে দেখব যে বাংলাদেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। যে বাংলাদেশকে এক সময় বলা হতো, তলাবিহীন ঝুঁড়ি, সেই বাংলাদেশ এখন আর নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।’
ডাঃ নিকুঞ্জ আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাঁর হাতকে আমাদের আরও শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার, ধলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি, বাঘারপাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বুলবুল মোর্শেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। এর আগে শহীদের স্মরণে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এরপর অনুষ্ঠান শেষে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে সাড়ে ৮ শ মহিলা রোগীকে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, অবসরে গিয়েও ২০১৬ সাল থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর অঞ্চলে ৬ শতাধিক মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ৭ লক্ষাধিক নারীদের ফ্রি স্ত্রী, প্রসূতিসহ গাইনি চিকিৎসা, ফ্রি ঔষধ ও পরামর্শ দিয়েছেন। ঈদ, পূজাসহ যে কোন পার্বণে তিনি থেকেছেন অসহায়, দরিদ্রসহ শ্রমিক শ্রেণির মানুষের পাশে। নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দুই উপজেলার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন প্রীতম বন্ধু। তার এ মহতী উদ্যেগে স্থানীয়রা নানা ভাষায় ডা. নিকুঞ্জ‘র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।