চাঁদের নিচে আলোর বিন্দু কেন?

ছবি- সংগৃহীত।

সূর্য ডুবতেই এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছে মানুষ। সেই দৃশ্যের সাক্ষী হলো অনেকেই। আকাশে উঠেছে সরু এক চাঁদ। আর তার নিচেই দেখা যাচ্ছে এক আলোর বিন্দু। সন্ধ্যা প্রায় ৬টা পর্যন্ত সেই আলোর বিন্দু একেবারে চাঁদের কাছেই অবস্থান করছিল। পরে দেখা যায়, আস্তে আস্তে সেই বিন্দু চাঁদ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

এরই সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা, জল্পনা। আসলে কী কোনো তারা, কোনো গ্রহ নাকি অন্য কিছু, মহাকাশের মহাজাগতিক আলো নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এরইমধ্যে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন, আলোটি আসলে কিসের? জানা যায়, আসলে শুক্রগ্রহের আলো ছটায় তৈরি হয়েছে ওই আলোর বিন্দু।

কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী জানিয়েছেন, আসলে চাঁদের নিচে যে উজ্জ্বল বিন্দু দেখা গেছে, তা হলো শুক্রগ্রহ। পৃথিবীর নিরিখে মনে হচ্ছে যেন শুক্রের কাছে চলে এসেছে চাঁদ। কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী জানিয়েছেন, আসলে চাঁদের নিচে যে উজ্জ্বল বিন্দু দেখা গেছে, তা হলো শুক্রগ্রহ। পৃথিবীর নিরিখে মনে হচ্ছে যেন শুক্রের কাছে চলে এসেছে চাঁদ।

কতদিন পর আবার এমন দৃশ্য দেখা যাবে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলেই জানান দেবীপ্রসাদ দুয়ারি। তিনি আরও বলেন, নিজের কক্ষপথে চলতে চলতে এভাবে গ্রহ বা নক্ষত্রের অবস্থান বদলায়। এটা তেমনই একটি ঘটনা। তাই আবার কবে দেখা যাবে, তা বলা সম্ভব নয়। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, মহাজাগতিক এ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, গত ১ মার্চ থেকেই খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে বৃহস্পতি ও শুক্রগ্রহ।

আরো পড়ুন :
> সুলভ মূল্যের পণ্য যেন সোনার হরিণ
> রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে পুরো দেশ

বিভিন্ন দেশে রাতের আকাশেই দেখা মিলছে এ বিরল দৃশ্যের। সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে বৃহস্পতি ও শুক্র। আকাশে মেঘ না থাকলে কাছাকাছি আসার দৃশ্য খালি চোখেই দেখতে পারছেন যে কেউ। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকিউ ওয়েদার বলছে, পৃথিবীর দুই প্রতিবেশী গ্রহ শুক্র ও মঙ্গল একে অপরের সবচেয়ে নিকটে আসতে চলেছে। একই সঙ্গে এক সারিতে দেখা যাবে শুক্র-মঙ্গল ও চাঁদকে। এমন ঘটনাকে ‘প্ল্যানেটরি কনজাংশন’ বলে আখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও টিভিনাইনবাংলা।

মার্চ ২৫, ২০২৩ at ১০:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সান/সুরা