বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু এই পানির কষ্টেই দিন যাচ্ছে বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষের। চরম এ সংকট সমাধানে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে ব্যর্থ আলোচনার পর বুধবার নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে তিনদিনের ‘পানি সম্মেলনে’ বসতে চলেছে জাতিসংঘ। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে আর্জেন্টিনা মার দেল প্লাটাতে পানিবিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনো বৈশ্বিক চুক্তি হয়নি। এছাড়া জাতিসংঘের মতো কোনো সংস্থারও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এএফপি।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বর্তমানে পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সংকট উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অনিরাপদ পানির প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিবছর বৈশ্বিক ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খরা ও বন্যা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। বর্তমানে জরুরি প্রয়োজনে পানি সমস্যার নিরসন করতে হবে। এজন্য বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

নেদারল্যান্ডসের পানিবিষয়ক বিশেষ দূত হেঙ্ক ওভিঙ্ক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ৪৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ব পানির ইস্যুতে একত্রিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিশ্বে পানি সংকটের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সম্মেলনটি অবশ্যই একটি সাহসী ওয়াটার অ্যাকশন এজেন্ডায় পরিণত হবে, যা আমাদের বিশ্বকে পানি সুরক্ষার নিশ্চয়তা করার প্রতিশ্রুতি দেবে।

তিন দিনব্যাপী চলা এই সম্মেলনে বিশ্বের সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কর্মকর্র্তাদের পানিবিষয়ক প্রস্তাবনা উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৬,৫০০ মানুষ ৫০০টিরও বেশি পানি সম্পর্কিত ইভেন্টসহ সম্মেলনে যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০ জন সরকারপ্রধান এবং কয়েক ডজন মন্ত্রী ও সুশীলসমাজসহ শত শত বাণিজ্যিক প্রতিনিধি।

আরো পড়ুন :
> বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস তবুও বাড়বে তাপমাত্রা
> টাকা না দিলে ভেরিফায়েড আইডির ব্লু টিক মুছে দেবে টুইটার

বিশ্বব্যাংক জানায়, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে মৃত্যুর অষ্টম কারণ ছিল ডায়রিয়াজনিত। অভিযোগ করা হয় সারাবিশ্বে ২০১৯ সালে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে নারী ও স্কুলগামী মেয়ে শিশুদের ওপর কঠোর প্রভাব পড়ে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে রিটার্ন আসে তিন বিলিয়ন ডলার। গ্রামীণ এলাকায় পানির জন্য বিনিয়োগ করলে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কৃষিকাজের জন্য পানি অপরিহার্য।

মার্চ ২৪, ২০২৩ at ২১:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/সুরা