বেগুনে আগুন ও লেবুতে ঝাঁঝ

ছবি- সংগৃহীত।

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই  বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে বেগুন, শসা, করলা, কাঁচামরিচ, লেবুসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম। মাছও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ক্রেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে  বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা যায়, দুদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা। রোজা শুরুর আগেরদিন দাম বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা দরে।

একইভাবে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৯০-১০০ টাকা হয়েছে। ৪০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে করলার কেজি। লেবুর হালি ৮০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। তবে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ দরে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা দরে।

আকার ভেদে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৭০ টাকা দরে।

লেবুর এত বেশি দামের কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা রহমান আলী বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে সবাই লেবুর শরবত খায়। তাই লেবুর চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণেই রমজান আসলেই লেবুর দাম কিছুটা বেড়ে যায়।

বাজারে আজ প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এ ছাড়া, চিনি ১১০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা, খেসারি ডাল ৭৪ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫ টাকা, বুটের বেসন ১০০ টাকা এবং মুড়ি ৮০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভেদরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হারুন বেপারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাঁচামরিচ দুদিন আগে কিনেছি ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ। এখন কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। আমাদের আসলে করার কিছু নেই। একই বাজারের কাঁচামাল পাইকারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার বেপারী বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুপাতে আমদানি কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে আলু, পেঁয়াজ এসব পণ্যের দাম ততটা বাড়েনি।

আরো পড়ুন :
> খানসামায় ১৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ
> রেকর্ড গড়া জয়ে ওয়ানডে সিরিজ টাইগারদের

মাছ ও মাংসের বাজারেও বিক্রি কম। বিক্রেতারা বলছেন, গত রমজানের তুলনায় বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। কারওয়ান বাজারে আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ৯০০ টাকায়।

প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ ২০০-২২০ টাকা, কই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি মাছ আকার ভেদে ৬০০ থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছের দাম আকার ভেদে ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, প্রত্যেক উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম বেশি রাখলে ও পণ্য মজুত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মার্চ ২৩, ২০২৩ at ১৭:৫৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দ্যাডেস্টা/সুরা