রেকর্ড গড়া জয়ে ওয়ানডে সিরিজ টাইগারদের

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ (২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার) আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ১৮৩ রানের বড় জয়ের পর ২০ মার্চ দ্বিতীয় ওয়নডের খেলা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় হয়। দশদিনের ব্যবধানে এটি টাইগারদের দ্বিতীয় সিরিজ জয়। এর আগে ঘরের মাটিতেই ইংল্যান্ডকে টি- টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধাণে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

ভারতের মাটিতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে যেন উড়ছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে এবার আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কয়েক দিন আগেই নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এবার ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে স্বরূপে ফিরল টাইগাররা।

বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। মাত্র ৮.১ ওভার বোলিং করে ৩২ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং তার। এছাড়া তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রানে নেন তিনটি উইকেট। আর এক পেসার এবাদত হোসেন ৬ ওভারে ২৯ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।

ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে। নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।

পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ। কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার।

দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।

এরপর নবম ব্যাটার হিসেবে হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের। শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে।

আরো পড়ুন :
> রাফি স্মৃতি মহানগরী জুনিয়র ক্রিকেট লীগ-শুভ উদ্বোধন
> মাদকসহ ছদ্মবেশী ইয়াবা কারবারি আটক

এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট। দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের ২৫তম সিরিজ জয়। দেশের বাইরে সিরিজ জিতেছে ৮টি। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয়।

এরপর সাফল্যের খাতায় একে একে নতুন সিরিজ জয় যুক্ত হয়। আর আইরিশদের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলে এটি টাইগারদের নবম জয়।

মার্চ ২৩, ২০২৩ at ১৯:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ই/সুরা