যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই চৌগাছার বাজারে দাম বেড়েছে সব কিছুর। ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় পন্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় পন্যের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান বাজার দরের কারনে এবছর রমজানে অনেক কিছুর স্বাদ নিতে পারবেন না গরীব অসহায় মানুষ মনে করছেন অনেকে।
রাত পোহালেই পবিত্র মাহে রমজান। রমজানের শুরুর আগ মুহুর্তে চৌগাছার প্রধান বাজারসহ ছোট খাটো বাজার গুলোতে নিত্যপন্যসহ রোজার ইফতার ও সাহরিতে খাওয়া যায় এমন সব খাদ্য পন্যের দাম ৫ টাকা হতে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ছে।
যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা বেশি দামে মালামাল বিক্রি করছেন অভিযোগ ক্রেতাদের। একদিন আগেও যে খাদ্য পন্যের কেজি ছিল ৪০ টাকা রাতের পর দিনে তা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে চৌগাছা পৌর সদরের মুদি দোকান থেকে শুরু করে, কাঁচাবাজার, ফল, মাছ, মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে অধিকাংশ পন্যের গায়ে যেন আগুন লেগেছে।
নিন্ম আয়ের মানুষেরা রোজার আগের দিন পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে এসে হতাশ হয়েছেন। পাকা কলা রোজাদার প্রতিটি মানুষের কাছে প্রিয় একটি খাবার। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা রাতে এক কেজি কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাত শেষে বুধবার সকাল থেকে সেই একই কলা কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দাম হাকিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
গৃহবধু আঞ্জুয়ারা খাতুন, স্বামী ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। এই গৃহবধু রোজার আগে কিছু সদয় করতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম দেখে শুধু হতাশ না বাজারের তালিকা ছাটকাট করে কোন রকম কেনাকাটা সেরে বাড়ি যেতে হচ্ছে। একটি অফিসের অফিস সহায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, স্ত্রী সন্তান মিলে ৫ সদস্যের পরিবার তার।
রোজা সামনে তাই কলাসহ কিছু জিনিস কিনতে এসেছি। কিন্তু জিনিস পত্রের যে পরিমান দাম তাতে আমাদের মত গরীব মানুষ সামনের দিন গুলো কি ভাবে চলবে সেই চিন্তায় বিভোর। তিনি এক কেজি চাপা শরপি কলা যা গত কাল (মঙ্গলবার) ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ৬০ টাকায় কিনছেন। বাজারের প্রতিটি পন্যের দাম এ ভাবেই বেড়েছে। রোজার ইফতারে অন্যতম সেরা রসালো ফল তরমুজ।
সেই তরমুজ প্রকার ভেদে এক একটি ১৫০ টাকা হতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আমদানি করা ফল আঙ্গুর, খেজুর, কমলা, মাল্টা, আপেল সহ অনেক ফলের গায়ে যেন হাত দেয়ার কোন পরিস্থিতি নেই। ফল ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী বলেন, যখন যে দামে ফল ক্রয় করি তার থেকে কিছু লাভে বিক্রি করি। রোজা সামনে রেখে ফলের দাম বেড়েছে তাই বাড়তি দরেই ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন।
আরো পড়ুন :
> কাজিপুরে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
> শার্শা উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে কিছু মশলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও জিরা দাম দ্বিগুন বলে মুদি ব্যবসায়ীরা জানান। কয়েক দিন আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিলো ৭০০ টাকা, বুধবার তা সাড়ে ৭শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাহে রমজান সন্নিকটে, দীর্ঘ একটি মাস ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সিয়াম সাধনার পাশাপাশি নানা ইবাদত বন্দেগিতে মাহে রমজানের মাস পার করবেন। পবিত্র মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই যাতে সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে তার সুব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি সহ উপজেলার সচেতন মহল।
মার্চ ২২, ২০২৩ at ১৮:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/সুরা