চিলমারীতে মরিচ চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকদের

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে জীবনের গতিপথ সচ্ছল হয়েছে বলে জানিয়েছে মরিচ চাষিরা। সরেজমিনে উপজেলার সীমান্তবর্তী চর-হরিপুর (ডাঙারচর) এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব মরিচ চিলমারী উপজেলার স্থানীয় বাজারে পাইকারদের নিকট বিক্রি করেন তারা। এসময় মচির চাষের পাশাপাশি আবাদ করেছে বেগুনও।

এবার চিলমারী উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৮৮ হেক্টর জমিতে বেগুন সহ অন্যান্য সবজি আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি দফতর। গতবারের চেয়ে এবারে কাঁচা মরিচের দাম মোটামুটি ভালো পাচ্ছেন বলে জানায় অষ্টমীরচর এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম।

তিনি বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে।চর হরিপুর এলাকার কৃষক এবাদুলের সহধর্মীনি মোছা. রাবেয়া বেগম জানান, তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এবার ১২ শতাংশ জমিতে কাঁচা মরিচ ও ১২ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন।

বেশ কয়েকবছর ধরে তারা এসব জমিতে মরিচ চাষ করে আসছেন বলে জানান। রাবেয়া বেগম বলেন, ১৮’শ চারা গাছ ২হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনে জমিতে লাগিয়েছে। বর্তমান সর্বোমোট প্রায় ১৫/১৭হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে মরিচে দাম ২৪’শ থেকে ২৫’শ টাকা মণ বিক্রি করছে পাইকারী বাজারে । এসব মরিচ আষাঢ় মাস পর্যন্ত গাছ থেকে তুলতে পারবেন।

আরো পড়ুন :
> সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
> ঝিনাইদহের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নির্বাচিত হলেন

এবার এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা আয় করেছে। তবে গত বছরে প্রায় ১লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলেও জানান তিনি। অভাব অনটনের সংসারে দিন বদলেছে এসব সবজি চাষে। উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, এবার তুলনামূলক ভাবে মরিচের চাষ কম হলেও ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তাছাড়া আমরা কৃষক দের নানা ভাবে সহযোগিতা এবং পরামর্শ প্রদান করে আসছি যাতে চাষাবাদ করে লাভবান হয়।

মার্চ ২২, ২০২৩ at ১১:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/সুরা