থানচিতে ফের অনির্দিষ্টকালে জন্য ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

নিরাপত্তাজনিত কারণে এবার বান্দরবানে থানচিতে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থানীয় ও দেশ-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ গণবিজ্ঞপ্তিতে থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক স্বারক মূলে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্তে অত্রাফিসের পত্র নম্বর-০৫.৪২.০৩০০.৪০৩.১২.০৪৬.৯৪; ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মূলে জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরতঃ রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা নিষিদ্ধ করা হলো।

আরো জানা যায়, জেলায় দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনা নিবাসের ১০ ফেব্রুয়ারি এক পত্রের আলোকে ১৪ মার্চ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরত জেলার এই তিন উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকরা পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রমন করতে পারবেনা। তবে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ০৭টি উপজেলার মধ্যে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলা ব্যতীত অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকগণ ভ্রমন করতে পারবেন।

এদিকে ফের এ নিষেধাজ্ঞা জারী আরোপে কারণে থানচিতে ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আর্থিকভাবে লোকসান হবে। দফায় দফায় বাড়তে থাকলে শতাধিক পর্যটক গাইড কর্ম শূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিবছরের থানচিতে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পর্যটক না আসলে উপজেলার হোটেল-মোটেল ও বিনোদনস্পটগুলো পর্যটক শূন্যতার ঘটবে। ফলে আর্থিক ভাবে ফের লোকসান গুনতে হবে বলেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

থানচিতে ফের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর বলেন, জনস্বার্থে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চলমান পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাতে ফের থানচি উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সকলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা প্রদানে আহব্বান জানান তিনি।