আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলা ঘটনায় তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বানোয়াট : মির্জা ফখরুল

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়ে বিএনপির সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা ও হারুনের নামে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বানোয়াট দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,তথ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ নিয়ে আমাদের দুইজন নেতার বিরুদ্ধে বলেছেন সেটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। রুমিন ও হারুনের তেমন কোন ফেসবুক আইডি নেই।

ফেক আইডি খুলে এসব অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের তো এটি নতুন কোন কিছু নয়,ঘটনা ঘটাবে তারা আর দোষ দিবে আমাদের উপর এটাই তারা করে থাকে। সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে বিএনপির বর্ধিত সভায় তিনি এসব বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,এই সরকার গোয়েন্দা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে যতো রকমের অপপ্রচার চালানো যায় সেটা করে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের এই ঘটানার সঙ্গে এই সরকার সরাসরি জড়িত। এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। সেই ঘটনায় মূল নায়কদের না ধরে উল্টো সেখানে আমাদের যেসব নেতা আছেন তাদের নামে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

সরকার পরিকল্পিত ভাবে জনগনের দৃষ্টি প্রভাবিত করার জন্য পঞ্চগড়ের এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি বলে ফখরুল বলেন,যখন দেশের সকল জনগন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেমেছে ঠিক তখনি সরকারের লোকেরা জনগনের দৃষ্টি অন্য দিকে নিয়ে যাবার জন্য এমন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব কাজ করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন :
>ববি বাঁধন ইউনিটের নতুন কমিটির সভাপতি ইকবাল ও সম্পাদক আসিক
>এজেন্টসহ ৭ অনলাইন জুয়াড়ি আটক

তত্বাবধায়ক সরকারই একমাত্র সমাধান রাজনৈতিক সকল সমস্যা দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন,দেশে একটি সুষ্টু গ্রহনযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পাড়েন তত্বাবধায়ক সরকার। এক সময় এই আওয়ামী লীগ সরকার চেয়েছিলেন তত্ববধায় সরকার,অথচ এখন সেটি তারা মানেন না। কারন তারা অসৎ উদ্যেশ্যে আজ এসব কথা বলছেন। কারন এখন তাদের বডি লেঙ্গুয়েজে বুঝিয়ে দেয় দেশে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আছে। ৭৫ সালেও তারা বাকশাল করেছিলেন,আবাও তারা সেই ভাবেই ভিন্ন চেহেরায় সেই একদলীয় ব্যবস্থা চালু রাখতে চায়।

সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে মহাসচিব বলেন,সবকিছু ধ্বংস করে আবারো ক্ষমতায় যেতে চায় এই সরকার। গত ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন যেভাবে করেছে সেভাবেই করতে চায় এবারো। তবে এবারে আর সেভাবে পাড়বেন না,কারন জনগন জেগে উঠেছে,তারা আগের মতো জোড় খাটানো নির্বাচন করতে দিবেনা।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মার্চ ১৩, ২০২৩ at ১৬:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআসু/শাস