উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ নিয়ে পুলিশে পুলিশে মতপার্থক্য

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তির। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাড়ি থেকে ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে ডিবি পুলিশ। এদিকে টাকা গণনার পর থানা পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকার প্রকৃত পরিমাণ ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমরা টাকা উদ্ধারের পরপরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমরা টাকা উদ্ধার করেছি, কিন্তু গুনিনি। তাই টাকার সঠিক পরিমাণটা তারাই বলতে পারবেন।

এদিকে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান বলেন, টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। তাই এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। অপরদিকে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মওদুদ এই বিষয়ে উপ পুলিশ কমিশনার মোরশেদ সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন।

আরো পড়ুন :
>রাণীশংকৈলে নবধারা স্কুলে বার্ষিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ
>দিন দিন বাড়ছে নড়াইল বাঁধা ঘাটে সার্বজনীন মন্দিরের ভক্ত

গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে বেশিরভাগ টাকা উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় হোটেল লা মেরিডিয়ানে সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ৯ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার করেছি। বড় অংশই উদ্ধার করা হয়েছে।

পরে রাতে টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠান মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিঃ এর কর্মকর্তাদের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাঙ্ক খুলে ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পায় থানা পুলিশ।এলাকায় কানাঘুষা চলছে আসলে কি ঘটনা ঘটেছে পুলিশই ভালো বলতে পারে। মানিপ্লান্ট কোম্পানির কোন রহস্যজনক ভূমিকা রয়েছে কিনা। তা না হলে তালা বদ্ব খালি ট্রাঙ্ক কেন? যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হল কেন?

মার্চ ১১, ২০২৩ at ১৬:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মরইম/মমেহা