যশোর বিএডিসি’র কর্মকর্তা জাকিরের বিরুদ্ধে অগভীর নলকুপের লাইসেন্স নিয়ে হয়রাণির অভিযোগ

যশোরের চৌগাছায় বিএডিসির সরকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়নপুর গ্রামের কৃষক সন্টু বিশ্বাস। শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব চৌগাছায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন উপজেলার কৃষি ও সেচ প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের ১০ আগষ্ট সরকারি বিধি মেনে একটি অগভীর নলকুপ পাওয়ার জন্য চৌগাছা উপজেলা বিএডিসি অফিস বরাবর একটি আবেদন করি।

নলকুপ স্থাপনের প্রস্তাবিত স্থান খতিয়ান নং ৮৬৬, মৌজা নারায়নপুর জে এল নং ০৫, দাগ নং ৩১৩ উল্লেখ পূর্বক নির্ধারিত তিনশত টাকার মাধ্যমে এই আবেদন করা হয়।

এর ফলে যশোর জেলার সেচ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন উক্ত নলকুপের স্থাপনের জমির অবস্থানের সীমানা বা দূরত্ব জরিপ করেন। কৃষি সেচ প্রকল্পে নিয়মনুযায়ী একটি নলকুপ থেকে আর একটি নলকুপের দূরত্ব হবে ৮২০ ফুট। সেখানে আমার রয়েছে ৮৩৫ ফুট। কিন্তু আমার ৪ মাস পরে একই স্থানে অপর একটি অগভীর নলকুপ পাওয়ার জন্য এলাকার ঠান্ডু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন করেন।

কিন্তু তার জরিপে দূরত্ব নির্ধারন করা হয়েছে ৭৭০ ফুট। এলাকার কৃষকদের জন্য অত্র এলাকায় একটি নলকুপ খুবই দরকার। অথচ সেখানে আমার লাইসেন্স না দিয়ে সকল শর্ত ভঙ্গ করে যার ৭৭০ ফুট দূরত্ব রয়েছে তারই লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বিএডিসির প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। তিনি আমার নলকুপের লাইসেন্স করে দেবেন বলে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আমাকে দেড় বছর ধরে হয়রানি করে।

তার কাছে আমি ও এলাকার কৃষকরা গেলে সামনে মিটিংএ আপনাদের লাইসেন্স দেয়া হবে বলে জানায়। এভাবে মিটিং এর নাম করে তিনি বারবার ঘুরাতে থাকেন। এক পর্যায় তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে পুনরায় বলেন চলতি মার্চ মাসে প্রথম সপ্তাহে মিটিং আছে। ওই মিটিং এ আপনাদের লাইসেন্স দেয়া হবে।

কিন্তু প্রথম সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আজো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আমরা জেনেছি তার দাবীকৃত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় আমার লাইসেন্স দেয়নি। তিনি কৃষি ও সেচ প্রকল্পের সকল শর্ত ভঙ্গ করেই ঠান্ডু বিশ্বাসের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গত ডিসেম্বরে গোপনে সেচ লাইসেন্স দিয়ে দেন। যা দুঃখজনক।

এমনকি সকল শর্ত ঠিক থাকলেও আমার লাইসেন্স না দিয়ে অন্যকে উৎকোচের বিনিময়ে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, কি কারনে আমার লাইসেন্স হলোনা তার ব্যাখ্যাা বা কারনও আমাকে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার অফিসে গেলে তিনি আমার সাথে দেখা করতেও চাননি। শুধু তাই নয় এভাবে উপজেলার বহু লাইসেন্স প্রাপ্তরা হয়রাণির শিকার হয়েছেন বলেও তথ্য আছে।

যারা ঘুষের টাকা দিতে পারেনি তাদের লাইসেন্স হয়নি। এ সময় তিনি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃষক আব্দুল আলিম, জামাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, টিপু সুলতান, আশারফ হোসেন আশা প্রমূখ।