আবাসিক হোটেল শাহনাজে হেনস্থার শিকার দম্পতি : ঘটনায় মামলা

এক দম্পতি সম্পর্কে বাজে উক্তি এবং চাঁদাদাবি ও মারপিটের অভিযোগে রেলস্টেশন এলাকার বিতর্কিত আবাসিক হোটেল শাহনাজের ম্যানেজারসহ দুই কর্মীর নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে।

তারা হলেন, হোটেল ম্যানেজার মণিরামপুরের গাবুখালি গ্রামের সেকেন্দার শেখের ছেলে আলমগীর শেখ এবং বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার বারিয়ার গ্রামের মৃত সাইদুল শেখের ছেলে মাহফুজ।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আবু সাদ্দাক এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত তিনি এবং তার স্ত্রী মায়া আক্তার ভারতের কোলকাতায় যান চিকিৎসার জন্য।

গত ৮ মার্চ তিনি ভারত থেকে বেনাপোলে আসেন এবং বাসযোগে চাঁচড়া মোড়ে নেমে রেলস্টেশন এলাকায় যান। কিন্তুু রাতে কোন ট্রেন না থাকায় স্টেশনের পাশেই আবাসিক হোটেল শাহনাজে রাত ৮টার দিকে যান।

সেখানে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে রুম ভাড়ার কথা বললে রুম আছে এবং এক হাজার টাকা ভাড়া লাগবে বলে জানায়। তিনি রাজি হয়ে রুমে গিয়ে দেখেন রুম ভাল না। তিনি ম্যানেজারের কাছে এসে টাকা ফেরৎ চান। কিন্তু তাকে টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো বলে, আপনি মেয়ে মানুষ নিয়ে এসেছেন এ জন্য আরো তিন হাজার টাকা দিতে হবে।

টাকা ফেরৎ দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়ে তারা তার কাবিননামা দেখতে চান। তিনি তাদের দুইজনের স্মার্ট কার্ড ও পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখান। কিন্তু তারা বাজে মন্তব্য করে ওই টাকা চান। না দেয়ায় তার মাথার চুল ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে।

শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে খুন জখমের হুমকি দেয়। পরে তিনি মোবাইলের মাধ্যমে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।

এদিকে ওই এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলস্টেশন এলাকার আবাসিক হোটেল শাহনাজে নানা ধরনের অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়ে থাকে।

যৌনকর্মীদের নিয়ে গিয়ে ব্যবসা এবং মাদক সেবনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এই হোটেলটি। এর আগেও এই হোটেল থেকে মাদক ও অস্ত্রসহ অপরাধী আটক হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে একই কাজ শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে তারা এ ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হন।