জাবির মদবাহী এম্বুলেন্স দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মদবাহী এম্বুলেন্সের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের একজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জাবি ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সকে ব্যবহার করে মওলানা ভাসানী হলের রিইউনিয়ন প্রোগ্রামের জন্য মাদক আনতে গিয়ে একজন রিকশাচালক ও রিকশায় থাকা এক যাত্রীর মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে যাই তখন আমাদের বলা হয়েছিলো যে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। কিন্তু এতোদিন পর আমরা জানতে পারলাম যে আদৌ কোনো তদন্ত কমিটি ছিলো না। তারা শুধু নামমাত্র একটি ভাইভা নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এম্বুলেন্সের ধাক্কায় হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মদ আনতে যেয়ে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটাকে দুর্ঘটনা বলার কোনো সুযোগ নেই। এটা একধরনের কাঠামোগত হত্যা। আমরা এই হত্যার বিচার এবং আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।’

আরো পড়ুন :
>চৌগাছায় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
>উত্তরায় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের গাড়িতে ডাকাতি, সোয়া ১১ কোটি টাকা লুট

মানববন্ধনে উপস্থিত দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমার বোন-ভগ্নিপতি ও ভাগ্নির চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে আমাদের প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আরও ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন যা আমাদের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার সাথে কোনোপ্রকার যোগাযোগ করেনি। আমরা চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা ব্যয় বিশ্বিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে।’

এসময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ অর্নব বলেন, “আমাদের অপূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে এম্বুলেন্সের তীব্র সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও হলের প্রোগ্রামে মদ আনতে এম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনার ক্ষতিপূরন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি দ্রæত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।”

বিশ্বিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক শামসুর রহমান বলেন, “রেজিস্ট্রারের মৌখিক নির্দেশে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ইতোমধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছে। তবে এটি বিশ্বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত কোনো তদন্ত কমিটি নয়।”

এবিষয়ে বারবার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম জানান, ’আমি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলছি।’

মার্চ ০৯, ২০২৩ at ১৮:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/নাউ/মমেহা