৩৬ বছরেও কোনো উন্নতি হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরী

নানা সমস্যার কারনে ৩৬ বছরেও কোনো উন্নতি হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরী। বেশির ভাগই প্লাস্টিক আর চিড়া মুড়ির কারখানা। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ সুবিধার অভাবে গড়ে উঠছে না বড় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান।

পনের একর জমির উপর গড়ে উঠা তিপান্নটি ইউনিটে একশ পাঁচটি প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরী। বরাদ্দকৃত প্লটগুলোর মধ্যে ছয়টি এখনো ফাঁকা। আর বেশিরভাগেই গড়ে তোলা হয়েছে চিড়া,মুড়ি,বেকারি ও প্লাস্টিকের কারখানা।

এই নগরীতে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোও চলছে ঢিলেতালে। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ সুবিধার অভাবে এমন অবস্থায় থাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রসার ঘটছে না। গড়ে উঠছে না বড় কোন শিল্প কারখানা।

বছরের পর বছর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েও প্লট নেয়া ব্যবসায়ীরা তারপরেও উৎপাদন অব্যাহত রখেছেন। তবে এমন অবস্থায় থেকে বাধ্য হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেন সংশ্লিস্টরা। সমস্যা সমাধানের দাবি সবার।

আরো পড়ুন :
>আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে: নওয়াজউদ্দিন
>হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে অপরিচিত কল থেকে মুক্তি

বিসিকের ব্যবসায়ীরা সময় সংবাদকে জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিসিকের প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। সে কারনে অনেক প্লট বরাদ্দ নিয়ে ফাঁকা ফেলে রেখেছে। অথচ কারখানা গড়বে এমন উদ্যোগতা থাকলেও প্লট পাচ্ছে না। তবুও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিসিক কর্র্তৃপক্ষ। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও রাস্তাসহ অভাব রয়েছে নানা সুযোগ সুবিধার।

রাস্তা ও ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক নুরেল হক সময় সংবাদকে জানান, উদ্যোগতাদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে চেস্টা চলছে। যেসব প্লট ফাঁকা রয়েছে তাদেরকে কার্যক্রম চালুর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কার্যক্রম চাল না হলে অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৯৮৭ সাল থেকে জেলার বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে ওঠে আটা-ময়দা সুজি, সাবান ও প্লাস্টিক, চিড়া মুড়িরসহ ছোট ছোট কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী শুধু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে আসছে।

মার্চ ০৭, ২০২৩ at ১৩:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেআআ/সুরা