বীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সফল প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। শিক্ষকতা জীবনের শেষ কার্যদিবস পার করে অবসর ছুটিতে গেছেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১২ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক, শিক্ষিকা-মন্ডলীর আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদায় সংর্বধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শরিফুল ইসলাম ছিলেন শিক্ষক সমাজের বন্ধু। বিপদে আপদে ছিলেন সকলের সারথি। তিনি ১৯৭৯ সালে বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮২ সালে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ এইচএসসি পাশ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স, ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম এ পাশ করে ১৯৯৩ সালে তিনি উপজেলার ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রথম চাকুরিতে যোগদান করেন। এর পর মাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ২০১২ বীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগদান করার পর সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন।তার হাত ধরে এই বিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সহায়তা বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান তৈরি,শেখ রাসেল কর্ণার, সততা ষ্টোর, মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার,লাইব্রেরি স্থাপন করেন। তার নেতৃত্বে (২০১৪-২০১৭) সাল পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ও ২০১৮ সালে তিনি উপজেলার শেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ কর্মজীবনের শেষ দিন বিদায় বেলায় সকলের মাঝে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সহকর্মী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং অফিস সহকারী সকলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

আরো পড়ুন:
>নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত
>অভয়নগরে এক গৃহবধূর মরাদেহ উদ্ধার স্বামী পলাতক

এসময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তামিমা পারভীন বলেন ‘স্যারের বিদায়ী সময় আমরা খুবই ব্যথিত। স্যারের সুনাম উপজেলা জুড়ে রয়েছে। উনার অবসর সময় ভালো কাটুক। আল্লাহ উনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করুক। বিদায়ী প্রধান শিক্ষক বলেন, কেবল পুথিঁগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও উৎকর্ষতা বিকাশের মাধ্যমে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেকসই হয়ে থাকে।

এই বিদায় আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতা আর অশ্রসজল চোখে। উল্লেখ্য যে বিদ্যালয়ের বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০ জন এবং ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান করেন, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তামিমা পারভীন।

মার্চ ০৬, ২০২৩ at ১৬:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/প্ররাজি/সুরা