কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ‘মাদকপ্রবণ এলাকা’ ঘোষণার উদ্যোগ

ছবি- সংগৃহীত।

মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে বড় বাজার। প্রতিবেশী দুটি দেশ থেকে মাদক ঢুকছে দেশে। প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা। তাই মাদকের বিস্তার রোধে দেশে প্রথমবারের মতো সরকার এ দুই জেলাকে ঘোষণা করতে যাচ্ছে ‘মাদকপ্রবণ এলাকা। অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার। সাগর আর পাহাড় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এখানে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের তকমাটাও এ জেলার। তবে এতকিছুর পরও জেলাটির রয়েছে বদনাম। ইয়াবা ও আইসের প্রবেশদ্বার বলা হয় কক্সবাজারকে। প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পুনোরুল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মাদক পাচারের সঙ্গে, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যিনিই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালীই হউক না কেন, প্রধানমন্ত্রীর থেকে তারা শক্তিশালী নয়। ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থের সঙ্গে কোন আপস হতে পারে না।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখানে বাস করতে হলে আমাদের দেশের আইন মানতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়, এমন কর্মকাণ্ড থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে। এসব বন্ধ না করলে হয় তারা তাদের দেশে ফেরত যাবে, না হয় অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার অঞ্চল মাদকপ্রবণ এলাকা বলেই সেখানে সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমার বৈঠকে বলেন, ‘মাদক পাচারের বিভিন্ন রুটের মধ্যে কক্সবাজার রুটেই বেশিরভাগ মাদক প্রবেশের কথা জানা যায়। বর্তমানে মাদক পাচার কমে যাওয়ার পরিবর্তে এখন প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে একশ’র বেশি তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী আত্মসমর্পণ করেছিল। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তারা আবারও পাচার কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে। কক্সবাজার এলাকায় মাদকপাচার রোধে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিশেষ ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব করেন তিনি।

আরো পড়ুন:
>পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের হয়রানি করতো তারা
>মণিরামপুরে বিজয় দিবস ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

বৈঠকে কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ বলেন, ‘জিরো পয়েন্টে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। কারণ, মাদকপাচারের বড় রুট হিসেবে এ পয়েন্টটি চিহ্নিত হয়ে আছে।

সর্বশেষ বৈঠকে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে ও মানবিক সেবায় নিয়োজিত সকল স্তরের পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ফায়ারসার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ঝুঁকি ভাতা প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

মার্চ ০৬, ২০২৩ at ১১:২৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/সুরা