শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ

ছবি- সংগৃহীত।

যশোরের বাঘারপাড়ায় এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী নাজমুল হককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে একলাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ঘটনার ১৫ মাসের মাথায় রোববার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হক ওরফে বান্দা আলী বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ঠাকুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি সেতারা খাতুন। শিশুটি স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মক্তব ভিত্তিক শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আদালত সূত্র জানায়, নাজমুল ও ওই শিশু পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সকাল থেকে শিশুকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার পরিবার। বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজির একপর্যায় পুকুরে তল্লাশি চালানো হয়। তাদের সাথে নাজমুলও খোঁজাখুজি করতে থাকেন।

আরো পড়ুন:
>সার ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বিপাকে চৌগাছার ধানচাষিরা
>দৌলতপুরে যুবলীগের শোডাউন ও শান্তি সমাবেশ

এর মাঝে নাজমুলকে তার বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা স্থানে গর্ত খুড়তে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সেখানেই শিশুটির একটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে নাজমুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে ধরে ফেলেন। একপর্যায় তিনি স্বীকার করেন যে শিশুটির লাশ তার নিজের ঘরের খাটের নিচে রাখা আছে। নাজমুল আরও জানান, শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে পরে শ্বসরোধে হত্যা করে লাশ ওই গর্তে পুতে রাখার চেষ্টা করছিলেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার ও নাজমুলকে আটক করে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মুক্তার আলী বিশ্বাস বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন।

আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যা ও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন নাজমুল। সেই থেকেই কারাগারে আটক রয়েছেন নাজমুল। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৭ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আওয়াল হোসেন।

এ মামলায় ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার আদালত বাদী ও আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে মামলার বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সাথে দ্রুত ফাঁসি কার্যকারের দাবি জানান।

সূত্র- ভোরের কাগজ।

মার্চ ০৫, ২০২৩ at ২১:৪২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/সুরা