দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন রুখে দেয়া হবে: মির্জা ফখরুল

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন রুখে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আগের মতো জাতীয় নির্বাচন করতে চায় । আগের মতো ভোট লুট করে নিয়ে যাবে, চুরি করে নিয়ে যাবে। আমরা কি সেই নির্বাচন করতে দেবো? বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যদি নিরপেক্ষ থাকত, আপনার ভোট আপনি দিতে পারতেন।

যাকে খুশি তাকে দিতে পারতেন। এখন কি সেটা হয়, হয় না। এখন ওদের কথা হচ্ছে, আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। এজন্য এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে, আগে যদি জানতাম তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। এ নৌকা মানুষ নেবে না। কারণ এ নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। চুরির শেষ নেই এবং কাজ না করে টাকা নিয়ে চলে যায়। আর ১০ টাকার জিনিসের ১০০ টাকা বিল করে নিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু করেছে খুব ভালো।

কিন্তু পদ্মা সেতুর ১০ হাজার কোটি টাকা ৩০ হাজার কোটি টাকা করেছে। আর পাতালরেলে কী কী করে? উন্নয়নের নদী বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নে সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। এ সরকার যদি আবার আসে তাহলে এ দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা ফুলে ফুলে সব কলাগাছ হয়ে গেছে। যার পায়ে স্যান্ডেল ছিল, সে এখন বিরাট গাড়ি চালায় এবং বড় বড় বাড়ি তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে নিয়ে, ট্যাক্স চুরি করে নিয়ে এসব করেছে। আর বক্তব্য নয়।

এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সোচ্চার হয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি, তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ করো। সংসদকে ভেঙে দাও এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। জনগণ সেখানে ভোট দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেখানে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আসে আসুক, আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণের ভোটে আসতে হবে।

আরো পড়ুন:
> মেসির গোলে পিএসজির বড় জয়
> যেসব রোগের লক্ষণ হতে পারে অতিরিক্ত ঘাম

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সোচ্চার হয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি। তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ করো, সংসদকে ভেঙে দাও এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে জনগণ সেখানে ভোট দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেখানে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আসে আসুক আপত্তি নাই। কিন্তু জনগণের ভোটে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এই সংগ্রাম শুরু করেছি বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য। তরুণদের বলব, এগিয়ে আসুন। পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকার যারা আমাদের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে তাদেরকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৭,২০২৩ at ১০:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর