ঘোড়াঘাট থানা পুলিমের পৃথক অভিযানে মা-ছেলে ৩ জন গ্রেফতার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিমের পৃথক অভিযানে মা-ছেলে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। পৃথক অভিযানে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ৬৬ পিচ হেরোইন ও ইয়াবার বিকল্প নিষিদ্ধ নেশার কাজে ব্যবহৃত টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ মো. প্রিন্সকে (২৪) ও মো. মজিদুল ইসলামকে (৪২) আটক করেছে থানা পুলিশ। মো. প্রিন্সের নিকট থেকে ৩৫ পিচ ও মো. মজিদুল ইসলামের নিকট থেকে ৩১ পিচ টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

২৩ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে পৌরসভার সাহেবগঞ্জ রসুলপুর উচাপাড়া এলাকা থেকে ও ওসমানপুর বাজার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথ পুর থেকে তাদের দুই জনকে আটক করা হয়। একই সময় প‚র্বের একটি মাদক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) থাকায় প্রিন্সের মা রেবেকা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক প্রিন্স মিয়া ঘোড়াঘাট পৌরসভার মটুক মিয়ার ছেলে এবং মজিদুল ইসলাম চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত কাশেম আলীর ছেলে।

থানা পুলিশ জানায়,প্রিন্সের মা রেবেকা বেগম মাদক মামলায় দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।পরে সেখানে পলাতক মাকে আটক করার পর পুলিশের সন্দেহ হলে ছেলে প্রিন্সের দেহ তল্লাশি করে ৩৫ পিচ টাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ।অপর দিকে পৌরসভার ওসমানপুর বাজার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকায় মাদক বিক্রির খবর পেয়ে মজিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ৩১ পিচ টাপেন্টাডল উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন :
>পাবনায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
>বীরগঞ্জে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

বিপুল পরিমাণ মাদকের বেচাকেনা চলছে এমন খবরে গভীর রাতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে উপস্থিত হয় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের একটি দল। পুলিশ উপস্থিত হয়ে শুনতে পায় ঘরের ভিতরে কয়েক জন মাদক বেচাকেনার গল্প করছে। দীর্ঘ সময় তাদের গল্প শোনার পর ঘরের দরজা খুলতে বলে পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরের টিনের চালার নিচ দিয়ে টাপেন্টাডল নামক মাদক ঘরের বাহিরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে মাদক ব্যবসায়ী। পরে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে ৩৫ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী প্রিন্সকে (২৪) আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় আরো কয়েক জন মাদকসেবী।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা করে ২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠিয়েছে।পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রিন্সের মা রেবেকা বেগম বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে হিলিতে বসবাস করি। বৃহস্পতিবার দিনের বেলা আমার ছেলের সাথে তার চাচার গন্ডগোল হয়। এতে আমার ছেলে আহত হয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। আমার পুত্রবধু আমাকে খবর দিলে সন্ধায় আমি ছেলেকে দেখতে আসি। রাতে পুলিশ আমাকে ও আমার ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ্অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, গ্রেফতারকৃত প্রিন্স ও তার বাবা-মা সবাই দীর্ঘদিন থেকে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। প্রিন্সের বিরুদ্ধে আরো একটি মাদকের মামলা আছে। আটকের সময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ছিলো। শুনেছি পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার চাচার সাথে মারামারির কারণে সে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। পরে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরে আজমি ঝিলিক বলেন, পুলিশ রাতে এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তার শরীরে হাতের আঁচড়ের কিছু ক্ষত ছিল। ক্ষতটি কয়েক ঘন্টা আগেকার ছিল । আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়েছি।

ফেব্রুয়ারি ২৫.২০২৩ at ১৭:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মউআম/এমএইচ