রাজনীতিতে বাধা নেই, তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না খালেদা জিয়া

ছবি- সংগৃহীত।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়ে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) রোহিঙ্গা বিষয়ক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির আদেশে এমন কোনো শর্ত ছিল না যে, তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে পারবেন না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাজা স্থগিত করেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন ব্যক্তি, তাই তার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে কোনো বাধা নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নৈতিক স্খলনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছর বা ২ বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর ৫ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। খালেদা জিয়া দলীয় কার্যালয়ে অফিস করতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বললাম। ওনাদের যদি এতটা দরকার হয় তাদের আইনজীবীর কাছে চিঠি লিখে জিজ্ঞেস করুক। তারা যদি ব্যর্থ হয় আমার কাছে জিজ্ঞেস করতে বলবেন।

সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই। জনগণের কাছে যে দায়বদ্ধতা আছে সে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের ব্যাপারে কমিটেড। জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন আমরা সেই অনুযায়ী নির্বাচন করব। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য বিএনপি চেষ্টা করেছিল। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারপরও মানুষ ভোট দিয়েছে, নির্বাচন হয়েছে। মানুষ বয়কট করেনি।

আরো পড়ুন:
>চৌগাছায় গাছি সমাবেশ ও খেঁজুর গাছ কাটা প্রশিক্ষণ
>মানবিক কারণে জেলের বাইরে খালেদা

তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি মেন্ডেট না দিত তাহলে আমরা ২০১৪ সালে এবং পরে ২০১৮ সালে সরকার চালাতে পারতাম না। জনগণের আমাদের প্রতি মেন্ডেট আছে বলেই আমরা সরকার চালাচ্ছি। আমরা হ্যাঁ-না ভোটের মতো নির্বাচন করব না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নিরপেক্ষ হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৩.২০২৩ at ১৯:১৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এমএইচ