র‌্যাব-১৫’র বিশেষ অভিযানে ছিনতাই চক্রের প্রধান মুন্না আটক

কক্সবাজারের সদর থানাধীন কলাতলী এলাকা থেকে মোবাইল ছিনতাই চক্রের প্রধান মুন্না এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল এফডিএমএন ক্যাম্পে সরবরাহকারী শাহ আলম ও রানাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

অদ্য ১৬ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় অভিযানিক দল সদর থানাধীন পৌরসভা ১২নং ওয়ার্ডস্থ কলাতলী আদর্শ গ্রামের রাস্তার মুখে মৌ ভাইনার ঢাবা নামক রেস্টুরেন্টের সামনে চেকপোস্টে তল্লাশী অভিযানে ১। মো. মুন্না (২৫) ২। মো. মাসুদ পারভেজ রানা (২৫) ৩।শাহ আলম (২৫)দের আটক করা হয়। তিনজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে ব্যার্থ হয়।

আভিযানিক দল গোপন সূত্রে অবগত হয়,কক্সবাজার বাস টার্মিনাল হতে কক্সবাজারগামী কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়।এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশী করে বিভিন্ন কোম্পানীর ১৮টি চোরাই মোবাইলসহ চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ৩৫,০০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করে, গ্রেপ্তারকৃত মুন্না ও তার সহযোগী ছিনতাইকারীদের নিয়ে সন্ধ্যা বা ভোর রাতে সিএনজি করে শহর ঘুরে বেড়ায় এবং নির্জনে কাউকে পেলে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের সবকিছু ছিনতাই করে।

আরো পড়ুন :
>কুবিতে কুসান’র নবীনবরণ ও চড়ুইভাতি
>আলাউদ্দীন খান আ. লীগের রাজনীতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন: অ্যাড. মনির

জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানায়, তাদের গ্রুপে কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছে যাদের মাধ্যমে বিভিন্ন টুরিস্টদের ব্ল্যাকমেল করে টুরিস্টদের মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনতাই করে। পরবর্তীতে এই মোবাইলগুলো শাহ আলম ক্রয় করে রানার নিকট বিক্রি করে এবং রানা এই ছিনতাইকৃত মোবাইলগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন চক্রের নিকট বিক্রি করে থাকে। অদ্য উপরোল্লিখিত চোরাই মোবাইলসহ র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়। ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৬.২০২৩ at ২০:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর