ডিমের কুসুম আসলেই কতটা ক্ষতিকর?

ছবি- সংগৃহীত।

সহজে তৈরি করা যায় এমন খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে ডিমের নাম। এটি বেশিরভাগ মানুষের কাছে পছন্দের একটি খাবার। অনেকে আবার ডিমের থেকেও বেশি ডিমের কুসুম খেতে পছন্দ করেন। এদিকে ডিমের কুসুম খাওয়ার ক্ষেত্রে নানা নিষেধ শুনতে পাওয়া যায়।

বলা হয়ে থাকে, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরল বেশি হলে ডিম খেতে বারণ করা হয়। শরীরে ব্যথা বেশি হলেও ডিম এড়িয়ে চলতে বলা হয়। এদিকে ডিম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। তাহলে কী করবেন?

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি-১২ এবং কে। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও রয়েছে, যা শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। এ ছাড়াও ডিমের কুসুমে ‘লুটিন’ (গর্ভাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকিকে হ্রাস করে) ও ‘জিযান্থিন’ নামক দুই ধরনের ক্যারাটেনোয়েডস থাকে। যা চোখকে অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন:
>ফাইনালে সিলেট ও কুমিল্লার সম্ভাব্য একাদশ
>৩০ দিন পর ফের চালু রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

এ ছাড়া ডিমের কুসুমে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তে লোহিত কণিকার বৃদ্ধি ঘটায়। বিশেষজ্ঞরা মতে, ডিমের কুসুমের ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি। তাই ফেলে না দিয়ে ডিমের কুসুম খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

ফেব্রুয়ারি ১৬.২০২৩ at ১০:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/ এসআর