যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজনীন আফরোজ লিজার বিরুদ্ধে আদালতে এক অভিযোগের দায়ের হয়েছে।
যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে গেছেন টাকাও। এ কাজে সহযোগিতা করেছেন লিজার মা, বাবা।
এ ঘটনায় ফয়সাল আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার তার স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা ওই ফয়সাল। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নাজনীন আফরোজ লিজা শার্শা উপজেলার বুরুজবাগানের বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের মেয়ে। তার মা রেখা বেগম ও একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে প্রেমিক সোহেল রানাকে এ মামলার আসামি করেছেন ।
ফয়সালের অভিযোগ, তার স্ত্রী নাজনীন আফরোজ লিজা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক। রাজনৈতিক লেবাসে স্ত্রী ব্যাভিচারী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ফয়সাল খানের সাথে দাম্পত্য জীবনকালে লিজা ফয়সালকে বলেন, তার বাব-মাকে জমি কেনার জন্য চার লাখ টাকা দিতে হবে । যা তিনমাসের মধ্যেই ফেরত দেবেন লিজা পরিবার।
এ কারণে ফয়সাল খান শ্বশুর ও শাশুড়িকে চার লাখ টাকা ধার হিসেবে দেন। টাকা নেয়ার পর জীবন চিত্র পাল্টে যায় লিজার। লিজা উচ্চভিলাসী হয়ে উঠে। এরমাঝে শার্শার বুরুজবাগান এলাকার সোহেল রানার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন । বিষয়টি ফয়সাল খান জানতে পেরে গত বছরের ১৫ অক্টোবর শ্বশুর ও শাশুড়িকে জানান। একই সাথে ধারের চার লাখ টাকাও ফেরত চান ফয়সাল।
আরো পড়ুন:
>ইবিতে ১৩ তম মেধা তালিকা প্রকাশ, ভর্তি ১৬ ফেব্রুয়ারি
>যশোর জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী লিজার বিরুদ্ধে মামলা
এধরণের কর্মকান্ড থেকে দুরে থাকার ওয়াদা দেওয়ায় ফয়সাল খান লিজাকে ক্ষমা করেন । এরই মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি লিজা সোহেল রানার সাথে চলে যান । পরে ফয়সাল জানতে পারেন লিজা সোহেল রানার সাথে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। এবং ব্যাভিচারীতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। পরে ফয়সাল খান খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন এগুলো সব শ্বশুর শাশুড়ির ইন্দনেই হচ্ছে। এরপর ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে ফয়সাল খান স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশড়ির কাছে ধারের টাকা ফেরত চান। কিন্তু তারা ওই টাকা ফেরত দেবেনা বলে জানান। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন ফয়সাল।
ফেব্রুয়ারি ১৬.২০২৩ at ০১:০৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/ এসআর
