তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ১২ হাজার ৮৭৩ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৭৩ জনে। অর্থাৎ ২ দেশেই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ৬০ হাজারের বেশি এবং সিরিয়ায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়।

স্মরণকালের এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন। সময় যত গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সর্বস্ব হারিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাত। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর প্রাণের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

স্মরণকালের এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন।

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ তুরস্কের গাজিয়ানতেপসহ আশপাশের এলাকা। বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু রাস্তাা। ধসে পড়েছে সড়ক-মহাসড়ক। রাস্তাতেই পড়ে আছে অসংখ্য গাড়ি। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভেঙে পড়েছে এসব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে দুর্গম এলাকায় পৌছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের চারদিন পার হার হলেও কোনো এলাকায় এখনও শুরু হয়নি উদ্ধার তৎপরতা।

আরো পড়ুন:
>বাংলাদেশের কাছে শীতবস্ত্র চায় তুরস্ক
>আটক ‘গাঁজা গুরু’ নিজের অসুস্থতার জন্য আমি গাঁজা খাই ডাক্তার আমাকে গাঁজা খাইতে বলছে

এমনকি পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ সহায়তাও। বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন পার করছেন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু না হওয়ায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরেও একই অবস্থা। বিভিন্ন মহাসড়ক ধসে পড়ায় চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। যুদ্ধকবলিত দেশটিতে ভূমিকম্প যেন মরার ওপর খারার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে মানবাবিক সংকট।

ফেব্রুয়ারি ০৯.২০২৩ at ১৭:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/ এসআর