চাচা শ্বশুরের হাতে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ও হত্যার চেষ্টা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না মীর পাড়ার এক গৃহবধু লম্পট মুক্তার হোসেন লাবু’র কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্লীলতাহানি ও হত্যার চেষ্টায় লম্পট লাবু-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ ২ ফ্রেব্রুয়ারী, ভায়না গ্রামের আতিকুরের চায়ের দোকানের সামনে থেকে ঐ লম্পট মুক্তার হোসেন লাবু-কে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

নির্যাতীত গৃহবধূ জানান, লাবু দ্বীর্ঘ দিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি যেখানেই যায় সে সবসময়ে আমার পিছু লেগে থাকে। সে বিভিন্ন সময়ে আমার শরীরে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। আমি তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে টাকার লোভ দেখায় এবং আমার স্বামীকে হত্যার হুমকী দেয়। আমি তাকে বললাম গরিব হতে পারি কিন্তু সম্মান নষ্ট করতে পারবো না।

হঠাৎ মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী সকালে লাবু আমাকে বাড়ীতে একা পেয়ে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে। আমি চিৎকার করলে আমাকে সাদা বস্তা দিয়ে নাক মুখ বেঁধে তার চরিতার্থ কামনার চেষ্টা করে। আমি চিৎকার করলে সূচ ফুটিয়ে অজ্ঞান করে চলে যায়। উত্তপ্তের মাত্রা এমনই হয় যে, মাঝে মধ্যে আমার ঘরে গোপনে আগুন দিতেও পিচুপা হয়নি তাঁরা। আমার পরিবার এখন চরম আতংকের মধ্যে আছে। সম্পর্কে উনি আমার চাচা শ্বশুর হয়।

এ ঘটনায় চা ব্যবসায়ী আলা উদ্দীনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন জানান, সাবেক মহিলা মেম্বার আম্বিয়া হঠাৎ আমাদের বাড়িতে এসে বলতে থাকে রত্না বাড়ি আছে? আর বলতে থাকে আমার এদের বাড়িতে আসতে ভয় লাগছে। বাড়ির ভিতরে গিয়ে তিনি ঐ গৃহবধুর এই অবস্থা দেখে সবাইকে ডাকাডাকি করলে বাড়ির লোকজনের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।

হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সূত্রে জানান, মেয়েটি প্রথমে ৩১ জানুয়ারী দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে ফিজিক্যাল এসাইনমেন্ট নিয়ে ভর্তি হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রুগীর শারীরিকভাবে উন্নতি না হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিছু দিন পরে ঐ রুগীটি আবার ২ ফ্রেব্রুয়ারী সন্ধা ৭টা ৪৫ মিনিটে হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। রুগীর অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে।

আরো পড়ুন:
>ভোলায় বিদ্যূৎপৃষ্টে যুবক নিহত
>পত্নীতলায় মৎসচাষীদের মাঝে মৎস উপকরণ বিতরণ

আইয়্যামে জাহেলিয়া যুগের মতো বরবরতা মেনে নেওয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ গৃণীত ও জঘন্য কাজ যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান উপজেলার ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হোসেন তুষার।

হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন জানান,ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ১০ পেনালকোড ৩২৩/৫০৬. মামলা করেছেন। আসামী লাবু-কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর যাতে কোনও রুপ অসুবিধা না হয় সেজন্য আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত এলাকায় নজরদারী অব্যাহত রেখেছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৭.২০২৩ at ২০:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/ এসআর