কাজিপুরে সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত

ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কৃষকেরা আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করায়, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে, জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অফিস সূত্রে জানা যায়, এই বছর কাজিপুর উপজেলায় ৯৩০ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা -১৪, বারি সরিষা -১৭, বিনা সরিষা -৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫৫ মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ভোজ্যতেল আমদানি নির্ভরতা কমাতে, সরকারের নির্দেশনায়, কৃষকদের সরিষা চাষে, নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করার ফলে, কাজিপুরে সরিষা আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, বারি সরিষা – ১৪ ফলন ভালো, বিঘাতে চার মণ সরিষা উৎপাদন হয় এবং ৮০ দিনে উৎপাদন সম্পন্ন হয় বিধায় ঐ জমিতে পরবর্তীতে বোরো আবাদ করা যায়।

আরো পড়ুন :
>হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। থ্রী হুইলা, অবৈধ মাটি টানা গাড়ী। বললে বলে “আমরা মাসিক দিই”
>রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে শীর্তাত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

গান্ধাইল ইউনিয়নের কৃষক মহির উদ্দীন বলেন, বন্যার পর এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম, ফলন ভালো হয়েছে, আধা শুকনা সরিষা তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। ব্যবসায়ী শ্রী বাবলু চন্দ্র জানান, এ বছর হাটে, বিশেষ করে চরাঞ্চলের হাটে পর্যাপ্ত সরিষা কৃষক বিক্রির জন্য নিয়ে আসে, দাম পঁচিশশো থেকে তিন হাজার টাকা মণ কেনা বেচা হয়। সরিষা ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, এবছর হাটগুলোতে প্রচুর সরিষা ওঠে, ভেজা সরিষার দাম একটু কম, শুকনা সরিষা সর্বোচ্চ বত্রিশ, তেত্রিশশো মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষা আবাদে খরচের পরিমাণ কম হয় ‌।

তাছাড়া সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হলেও, কাজিপুরে মৌসুমী মধু সংগ্রহে কাউকে লক্ষ্য করা যায় নাই। কাজিপুরে ভবিষ্যতে সরিষা আবাদের আওতায় জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে, আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উপজেলা কৃষি অফিস।

ফেব্রুয়ারি ০৭.২০২৩ at ১৭:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আসচ/এমএইচ