ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুরুষাঙ্গ কেটে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা কিচক ইউনিয়নে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুরুষাঙ্গ কেটে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতার নাম এরশাদুল ইসলাম (৩৮)। মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরশাদুল ইসলাম উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় কিচক ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে আহত অবস্থায় এরশাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আমি জামিনে বের হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেছে রুবেলের স্ত্রী ও তাঁর ভাই আব্দুর রহীম।

নিহতের ভাই শাহীন মিয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করা হয়েছে।

অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে যান। কিছু দিন আগে জামিনে বের হয়ে আবারো আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এ দিন সন্ধ্যায় আমি বাজারে গেলে এরশাদুল বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন। এ সময় আমার স্ত্রী ডাক চিৎকার করলে দৌড়ে পালিয়ে যান এরশাদ। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে আবারও আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় আমার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে এরশাদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। এরপর পুলিশ এসে আমার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি মনজুরুল আলম সংবাদকর্মী নুরনবী রহমানকে বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।