তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ১৩০০ ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। খবর রয়টার্সের।

শত শত মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকার বিভিন্ন শহর ও ধ্বংসাবশেষের স্তূপে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ফলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৩৯ সালের পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পে ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে ৩১২ জনের বেশি নিহত এবং এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এছাড়া সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।

আরো পড়ুন:
>নবীগঞ্জে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে চলছে পাহাড় কাটা
>ঝিনাইদহের গাছ প্রেমিক অসিত বিশ্বাস, ইচ্ছা আছে ১ লক্ষ গাছ লাগানোর

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়। এর প্রায় ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। এ দফায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ান্তেপ তুরস্কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসেও এর ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। এমনকি মিসরের রাজধানী কায়রোতেও এর তীব্রতা টের পাওয়া গেছে।

ফেব্রুয়ারি ০৬.২০২৩ at ১৮:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর