ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে খুন করে থানায় ছেলের স্বীকারোক্তি

ছবি- সংগৃহীত।

ঠাকুরগাঁওয়ে ফজলে হককে খুন করে সোজা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নিহতের ছেলে গোলাম আজম। রোববার রাত আড়াইটার দিকে পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকার এ ঘটনা সোমবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মোল রায়।

তিনি বলেন, নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। কী কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কাঠ ব্যবসায়ী ৫৮ বছর বয়সী ফজলে আলমকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯ বছর বয়সী তার ছেলে গোলাম আজমকে।

অভিযুক্ত গোলাম আজম একটি সফটওয়্যার কোস্পানিতে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি বাসাতেই থাকছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত ফজলে হকের মেজো ছেলে গোলাম আজম নিজ বাসায় ঘুমিয়ে পড়লে বাবা ফজলে হক তার বিছানায় মশারি টানিয়ে দিতে যান। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গোলাম আজম।

আরো পড়ুন:
>সিলেট জুড়ে কৃষি ও সবজি চাষে জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ
>প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে তালতলী জাহাজ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফজলে হক। বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজেই ছুটে গেছেন সদর থানায়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের কাছে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গোলাম আজমকে আটক করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৬.২০২৩ at ১৭:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর