তুরস্কে প্রবল ভূমিকম্পে মৃত্যু ৫ শতাধিক ছাড়িয়েছে

ছবি- সংগৃহীত।

জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। প্রথমে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত করে ভূমিকম্প। তখন রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এরপর ৬.৭ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে দেশটিতে। যদিও এখনও পর্যন্ত জোড়া ভূমিকম্পের ৫১২ এর ও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন এক সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পের তীব্রতায় ৩৪টি বহুতল ভবন একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তুরস্কেই কমপক্ষে ৫১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আবার সিরিয়াতেও ২৪৬ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও ৫৩২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

ছবি: সিএনএনের

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা-ইউএসজিএস ভূমিকম্পের আঘাত হানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার ছবি দেখা গিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং বন্দর শহর ত্রিপোলিতে ভূমিকম্পের কারণে লোকজন দৌঁড়ে রাস্তায় বের হয়ে যায়, তাদের ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে আশঙ্কায় কেউ কেউ নিজেদের গাড়ি সেখান থেকে সরিয়ে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

ছবি: বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহরের পূর্বে। ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থলে গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। জায়গাটি নুরদাগি থেকে ২৩ কিমি পূর্বে অবস্থিত।

গাজিয়ান্তেপের গভর্নর দাভুত গুল টুইটারে বলেছেন, শহরে ভূমিকম্পটি প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে। জনসাধারণকে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করার এবং শান্ত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন গভর্নর দাভুত গুল।

তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলেও শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মূল ভূ-কম্পনটি আঘাত হানার প্রায় ১১ মিনিট পর আরেক দফায় আঘাত হানে ভূমিকম্প। ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী আফটারশক মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। ১৯ মিনিট পরে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি তীব্র আফটারশক অনুভূত হয়।

ছবি: বিবিসির

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হতাই, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস-এই ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৬.২০২৩ at ১৪:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কনি/এসআর