২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ

ছবি- সংগৃহীত।

দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মহাখালীর কোভিড হাসপাতালের শয্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে হাসপাতালটির ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় অধিদপ্তর।

সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মওসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন।

গেল ১১ জানুয়ারি বিকেলে মহাখালীর আইইডিসিআর অডিটরিয়ামে ‘শীতকালীন সংক্রামক রোগ ও নিপা ভাইরাস সংক্রমণ’বিষয়ক সেমিনারে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ২০০১ সালে প্রথম নিপা ভাইরাস দেশে শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে গড় মৃত্যু ৭১ শতাংশ। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়।

আরো পড়ুন:
>কুবিতে যোগ্যদের রেখে ‘বিতর্কিত’ প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ
>কুবিতে নেত্রকোনা স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশনের নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত

যখন খেজুরের রস সংগ্রহ শুরু হয়, তখন থেকে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়। চলতি বছর এক জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তবে ২০২২ সালে এই রোগে তিন জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়।

ফেব্রয়ারি ০৩.২০২৩ at ১১:৪১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর