বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম গহীন অরন্যে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি একটি টহল দল ফের অভিযান চালিয়ে ৭ একর জায়গায় চাষ করা নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য পপি বাগান ধ্বংস করা হয়েছে। এ অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২ ) সকালে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম পিএসসি’র নির্দেশে ২০ সদস্যের বিজিবি একটি টহল দল থানচির তিন্দু ইউনিয়নের পাইরিং ম্রো পাড়া এলাকায় বন জঙ্গলে ও আশে পাশে ঝিড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭ একর জমিতে চাষাবাদে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ পপি (আফিম) বাগান ধ্বংস করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে পপি চাষীরা পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানচিতে দুর্গম এলাকায় গহীন অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতের অন্যতম উপাদান পপি চাষে ঝুঁকছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি এমন খবরে তিন্দু ইউনিয়নের গভীর অরণ্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান পপি খেত ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ধ্বংসকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করনে পর আনুমানিক ৩৫০ কেজি আফিম উৎপাদিত হতো, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হবে।
আরো পড়ুন:
>অজ্ঞানপার্টির প্রতারকচক্রের আটক-৩
>দক্ষিণখানের শাহ কবির মাজার রোডের পথচারীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়
এদিকে ফের এ অভিযানে বিষয়ে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম পিএসসি জানান, বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে আরো কোন পপি ক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে মাদক নির্মূল করতে ভবিষ্যৎতে এধরনে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি একই উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের গভীর অরণ্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল ৫ একর জমিতে চাষকৃত পপি বাগান ধ্বংস করে সেনা সদস্যরা।
ফেব্রয়ারি ০২.২০২৩ at ২১:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর