অজ্ঞানপার্টির প্রতারকচক্রের আটক-৩

সিএমপি মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের অভিযানে মহানগর ও আন্তঃ জেলা প্রতারক চক্র ও অজ্ঞান পার্টির ৩সদস্য গ্রেফতার। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কয়েন তৈরীর সরঞ্জামাদি, ব্রিটিশ আমলের ভুয়া কয়েন ও চেতনানাশক রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার।

২ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিবি উত্তর বিভাগের টিম নং-৩৪ পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট, কাঁচা বাজার, ১নং গলি, আব্দুল করিমের বাড়ির নীচ তলায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্র এবং অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা সহ উক্ত চক্রে ৩সদস্যকে গ্রেফতার করেন। আটককৃতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫৫),শাহেদ আহম্মদ খান (৪৪) ও মোহাম্মদ আলমগীর (৩৭)।

মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) জনাব মোঃ সোনাহর আলীর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক জনাব আরিফুর রহমান এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রের ৩সদস্যকে আটক করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৮৩৯সালের ব্রিটিশ আমলের তামা ও সিরামিকের ভুয়া কয়েন,উক্ত কয়েন তৈরীর ডাইস,মনোগ্রাম, তামা,পুরা মাটিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং চেতনানাশক দ্রব্য তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ক্লোরফর্ম, পটাশিয়াম ক্লোরেড, হাইড্রোজেন সালফার এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফাইড্রিক এসিড, ইথিনিল, সালফার মনোক্লোরাইড, কস্টিক সোডা, কপার সারফাইড,প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কথিত পুরাতন পয়সা তৈরীর ডাইস, কথিত ব্রিটিশ পয়সা, তামা, পুরা মাটিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে সাধারন লোকজনদের প্রাচীন মুদ্রার কয়েনে নির্দিষ্ট সময় চিনি রেখে তা গলিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে বোকা বানিয়ে প্রতিটি কয়েন ১লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে প্রতারনার মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়।

আরো পড়ুন:
>দক্ষিণখানের শাহ কবির মাজার রোডের পথচারীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়
>ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫ ফুট লম্বা গাঁজার গাছসহ একজন আটক

বর্ণিত প্রতারনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টিকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রনের মাধ্যমে চেতনানাশক রাসায়নিক দ্রব্য তৈরী করে সরবরাহ এবং বিক্রয় করে। অতঃপর উক্ত চেতনানাশক রাসায়নিক মিশ্রণ রুমাল, তোয়ালের সহিত মিশ্রিত করে বাস, ট্রেন, সিএনজি সহ বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের উপর প্রয়োগ করে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অজ্ঞান পাটির সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

ফেব্রয়ারি ০২.২০২৩ at ২১:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর