দক্ষিণখানের শাহ কবির মাজার রোডের পথচারীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়

ঢাকা মহানগরের উত্তরের বহুল পরিচিত একটি স্থানের নাম হচ্ছে দক্ষিনখান। নবগঠিত সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত শাহ কবির মাজার রোড টি আজমপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে পূর্বদিকে চামুরখান গিয়ে শেষ হয়। আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য শাখা ও উপশাখা রোড। ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য এটি একমাত্র রাস্তা।

চাকুরীজীবী, গার্মেন্টস কর্মী, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক এই রাস্তা ধরেই পথ চলেন। যানবাহনের সংখ্যা একেবারে কম নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে গ্রীস্ম, বর্ষা সবঋতুতেই এই রাস্তাটির চৈতি গার্মেন্টস হতে কাঁচা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় পানি জমে থাকে।

উক্ত এলাকা গুলোতে সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় ময়লাযুক্ত পানি রাস্তায় জমে থাকে। বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। গার্মেন্টস কর্মী রাবেয়া ও স্কুলছাত্র জাহিদ বলেন রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাটতে গেলে গাড়ির চাকা দ্বারা ময়লাযুক্ত পানি গুলো আমাদের গায়ে ছিটা লাগে।

একই কাপড় একদিনের বেশী দুইদিন ব্যবহার করার কোন উপায় থাকেনা। পথচারীরা দাবি করেন অনতিবিলম্বে সুয়ারেজ ব্যবস্থা না করলে এই এলাকায় বসবাস করা সম্ভবপর নয়। ময়লাযুক্ত এই পানি নিষ্কাশন এর ব্যাপারে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব হোসেন ও ডিএম শামিমের সাথে কথা বললে তারা জানান যে শুয়ারেজের এবং রাস্তার কাজ একই সাথে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অনতিবিলম্বে সম্পন্ন হবে। কিন্তু এলাকাবাসী বলেন এই ধরনের কথা আর কতদিন।

দীর্ঘদিন যাবৎ একই কথা শুনে আসছি কিন্তু বাস্তবে রূপ নিবে কবে? রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকারনাইনের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন পূর্বে রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ ছিল যেখানে হাঁটু পরিমান পানি থাকতো।

আরো পড়ুন:
>ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫ ফুট লম্বা গাঁজার গাছসহ একজন আটক
>শিবগঞ্জে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে যুবকের আত্মহত্যা

একাধিক বার সিটি কর্পোরেশন পানিগুলো সরানোর ব্যবস্থা করেছিল। বর্তমানেও যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে প্রয়োজনে আমি পুনরায় লোক পাঠিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করে দেব। আর সুয়ারেজের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে এবং তা বর্তমানে চলমান অবস্থায় আছে উত্তরখান এবং দক্ষিণখানের প্রায় ৩০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ফেব্রয়ারি ০২.২০২৩ at ২১:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর