ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে বাহার ট্রেডিং কীটনাশক দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে বাহার ট্রেডিং এজেন্সির সার ও কীটনাশক দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ভূল্লী বাজারে গড়েয়া রোডে মেসার্স বাহার ট্রেডিং এজেন্সির সার ও কীটনাশক দোকানের গোডাউন ঘরের পিছনের দেয়াল ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ১০ টার দিকে তালা দিয়ে বাড়ি ফেরেন দোকানের কর্মচারীরা। মঙ্গলবার দোকানের কর্মচারী সবুজ আলী দোকান খুললে দেখতে পান দোকানের সব কিছু এলোমেলো সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা, আলমারির ভাঙ্গা, ল্যাপটপ নাই । এ সময় দোকানের সাথে গোডাউন ঘরে গিয়ে দেখতে পান পিছনের দেয়াল ভাঙা।পরে সবুজের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে চুরির বিষয়টি দেখতে পান।

বাহার ট্রেডিং এজেন্সির ম্যানেজার মানিক হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক বাহার আলী জরুরি কাজে গতকাল ঢাকায় গেছেন। আমাদের হিসাবের জন্য ল্যাপটপ ও ৩ টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রির ও পূর্বের বিক্রির জমা বাবদ প্রায় ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮১০ টাকা ক্যাশ আলমারিতে ব্যাগে রাখা হয়েছিলো। মালিক উপস্থিত না থাকায় সম্পুর্ণ টাকা আলমারিতেই ছিলো। চোরেরা আলমারি ভেঙে টাকা, ল্যাপটপ ও প্রায় ১৫ লাখ টাকার কীটনাশক মালামাল নিয়ে গেছে।

আরো পড়ুন :
>কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাসিব, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
>বর্ণাঢ্য আয়োজনে গাজীপুর জেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

চুরির বিষয়ে বাহার ট্রেডিং এজেন্সির স্বত্তাধিকারী বাহার আলী সরকার জানান, আমি সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বিএফ কলেজে আমার মেয়ের ভর্তির বিষয়ে আসছি। মঙ্গলবার সকালে দোকান থেকে ম্যানেজার চুরির বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এটি একটি পরিকল্পিত চুরির ঘটনা। যেই দোকানে চুরি হয়েছে ঐ জমির বিষয়ে একটি ঝামেলা আছে।

আলমারিতে ঐ জমির দলিলের সাথে অন্যান্য জমির কাগজ পত্র ও দলিল ছিলো। শুধু ঐ জমিটির দলিল, কাগজপত্র, প্রায় ৩৬ লাখ টাকা একটি ল্যাপটপ ও কীটনাশকের মালামাল নিয়ে গেছে। আমি দ্রুত এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করতেছি।

ভূল্লী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, ভূল্লীর প্রাণকেন্দ্রে সার ও কীটনাশক দোকান চুরি। বারবার এ ধরনের চুরির ঘটনা খুব দুঃখ জনক।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ভূল্লী বাজারে রাতের টহল পুলিশের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), একেএম আতিকুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে ইতোমধ্যে আমি সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রতিষ্ঠানের মালিক না থাকায় কী কী চুরি হয়েছে সেটি কর্মচারীগণ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এরপরেও বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। পাশাপাশি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোরদের শনাক্তের জন্য আমরা কাজ করছি।

জানুয়ারি ৩১.২০২৩ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/মআআ/এমএইচ