আলমগীর নূর সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টা-অপরাধীদের বিচারের দাবী

সাংবাদিক আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যার অপচেষ্টা মরিয়া বেপরোয়া কিশোরগ্যাং শতাধিক অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী চক্রের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করে অপহরন ও হত্যা প্রচেষ্টার জেরেবঅবিলম্বে সন্ত্রাসী ও গডফাদারকে গ্রেপ্তারের দাবী।

গত ২৪ তারিখে ভুক্তিভোগির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ও তৎ অধীন ব্যাবসায়ীক কার্যালয়ে অবস্থানাকলে রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে অতর্কিতভাবে অনিক দাশ নামক একজন কিশোর গ্যাং লিডারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার মাদক কারবারী চক্রের সদস্য দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আলমগীর নূরের ব্যাবসায়ীক কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।

আলমগীর নূর সাংবাদিক পরিচয় এর পাশাপাশি মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠক এবং দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য,চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (নাপসা-বাংলাদেশ) এর চেয়ারম্যান।

এসম সন্ত্রাসীরা ভবনের নিচের প্রধান ফটক কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেয় যাতে বাহির থেকে কেউ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে। প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত কর্মচারী ও ব্যাবসা সংশ্লিষ্ট লোকজন পরিস্থিতির ভয়াবহতায় জরুরী থানায় ফোন করে সন্ত্রাসাদের দমানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আলমগীর নূরসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অফিসে অবস্থানরত ভিকটিম আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে।

এসময় সন্ত্রাসীরা পুরো ইসলামিয়া ভবন এর নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলাসহ আশেপাশের কেসিদে রোডজুড়ে ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ঘটনাস্থলে আতংক ও ত্রাসের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টার এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা অনিক দাস নামীয় সন্ত্রাসী আলমগীর নূর এর পেন্টের পকেটে থাকা ২৯,৭০০/- টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ভিকটিমের দু’হাত-পা চেপে ধরে অনিক দাশ নামক অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ভিকটিমকে অপহরণ ও মাথায় আঘাত করে ও গলাটিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রচেস্টা চালায়।

পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার দুজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে ভিকটিম আলমগীর নূর জরুরী জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে আরও ফোর্স প্রেরণ করে তাকেসহ তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সন্ত্রাসী খুনিদের হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানালে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার আরও অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চালালে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে সন্ত্রাসীরা ভিকটিমকে তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শাসিয়ে যায় অন্যতায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কোন মামলা করলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে ভিকটিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রদান করে।

আরো পড়ুন:
>ইবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৮ ফেব্রুয়ারি
>২১ শের ২১তম ফেব্রুয়ারী, বেনাপোলে বসবে দুই বাংলার ভাষাভাষীদের মিলন মেলা

প্রসঙ্গতঃ ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও কোতোয়ালী থানার পুলিশ উক্ত বিষয়ে এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে না পারায় চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আলমগীর নূর। এদিকে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সুধিসমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠসহ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সকল কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও মাদককারবারী এর পিছনের মদতদানকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কমিশনার ও ওসি কোতোয়ালীর প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ সদস্যবৃন্দ ঘটনার সকল ভিডিও ও অডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেছেন বলে সংবাদ সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে, এ বিষয়ে শতাধিক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা প্রচেষ্টা ও চাঁদাবাজী মামলার প্রস্তুতি প্রক্রীয়াধীন বলে ভিকটিন আলমগীর নূর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ৩০.২০২৩ at ২০:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর